আবারও বেড়েছে ডিমের দাম

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ডিমের দামে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে তদারকি সংস্থাগুলো। কিছুদিন আগেও একটি ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা; এখন তা ক্রয় করতে লাগছে ১৪-১৫ টাকা। এতে গরিব মানুষের হতাশা বাড়ছে। এদিকে বাজারে চাল, চিনি, মসলাসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

এ পরিস্থিতিতে কেবল নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না। বস্তুত যারা পুষ্টির জন্য ডিমের ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে ভাঙা ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ফলে ভাঙা ডিমের দামও বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-মুরগি, ডিম ও ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বেশ কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি। প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা মোট চাহিদার ৯০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে।

মাত্র ১০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও কৌশলে করপোরেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে; সময়-অসময়ে ডিম ও মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়ে তারা লাভবান হলেও প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা হুমকির মুখে পড়ছে।

খামারিরা জানিয়েছেন, লোডশেডিংয়ে প্রচণ্ড গরমে খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। ডিম উৎপাদনে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে; বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ডিমের সরবরাহ নেই। খামারিরা আরও বলছেন, পোলট্রি ফিডসহ এ খাতে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবকিছুর দাম বাড়ায় ডিমের দামে এর প্রভাব পড়েছে।

বর্তমানে ভারতে ডিমের দাম অনেক কম। দেশে ডিমের বাজারের অস্থিরতা দূর না হলে তা আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে ন্যায্য দামে পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।