পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওডেমিরায় দাবানল ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার হেক্টরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলের জেরে শহরটির বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা ও ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের কর্মীরা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা স্কাই নিউজের পর্তুগাল শাখার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে ওডেমিরায় ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর পরিমাণ জমির গাছাপালা ও ফসল। শুরু থেকেই প্রায় ৯০০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং ৬টি পানিবাহী বিমান দাবানল নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।

পর্তুগালের জরুরি অবস্থা ও বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের কমান্ডার জোসে রিবেইরো স্কাই নিউজ পর্তুগালকে বলেন, ‘দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ এবং জোর বাতাস আগুন নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’

সোমবার (৭আগস্ট)  সূর্যাস্তের আগেই দাবানলের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে উঠেছিল ওডেমিরার আকাশ। শহরের মেয়র হেলদের গুয়েরিয়েরিও রয়টার্সকে বলেন, ওডেমিরার পরিস্থিতি এখন খুবই ‘কঠিন, জটিল এবং সংকটপূর্ণ’।

তিনি আরও জানান, দাবানলে ইতোমধ্যে ভস্মিভূত হয়েছে ওডেমিরার ‘মনচিক’ অঞ্চল, যেটি মূলত শহরের পর্যটন এলাকা। এছাড়া আগুন গ্রাস করেছে ওডেমিরা পৌর অঞ্চলের অন্তর্গত মোট ১৯টি গ্রামকে। উপদ্রুত এলাকাগুলোতে সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। ইউরোপের পর্যটনের মৌসুম মূলত শুর হয় বসন্তের শেষে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে। কিন্তু চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে একের পর এক দীর্ঘ তাপপ্রাবহে পুড়ছে পর্তুগাল সহ দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।

ফলে একদিকে পর্তুগালে চলতি বছর পর্যটকদের আগমন ঘটেছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম, অন্যদিকে যেসব পর্যটক দেশটিতে গিয়েছেন— তাদের অনেকেই গরমজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।