সানজিদ মাহমুদ সুজন, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি :
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের রায়ের কান্দি (৬ নং ওয়ার্ড) এলাকায় বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই ভাই ও তার ছেলেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একটি পক্ষকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গিয়েছে।অপর পক্ষ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ায় আগামিতে ইউনিয়ন ব্যাপি এর প্রভাব ছরাতে পারে।
সোমবার (৩০-জানুয়ারি) দুপুরে বাড়ির সীমানায় আইন না মেনে,ঘড় উঠাতে যায়গা না রেখে পাকা বাসভবন তোলাকে কেন্দ্র করে আবু আলেম হাওলাদার(৫৭) ও তার আপন ভাই মোবারক হাওলাদার(৬০) স্থানীয়ভাবে শালিসি চলা অবস্থাই দ্বন্দে জড়ায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মোবারক হাওলাদারের দুই ছেলে সাগর(২৬) ও সজিব(২৪) ধারালো রানদা ও টেঁটা নিয়ে মহড়া চালায়।
সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, মোবারক হাওলাদার এবং আবু আলেম হাওলাদার সম্পর্কে আপন ভাই। মোবারক হাওলাদার সীমানায় জমি না রেখে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করছে। বিষয়টি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ চলছে কয়েকমাস ধরে।
বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানায় অভিযোগ করা হয়েছিলো। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা করার জন্য বসলে দুই ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে একে অপরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় মোবারক হাওলাদারের দুই ছেলে ধারালো ছেনদা ও টেঁটা নিয়ে মহড়া চালায়।
এই ঘটনায় মোবারক হাওলাদার মাথায় আঘাত পেলে তাকে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে দুটি পক্ষই।স্থানীয় মানুষের সংক্যা এই পারিবারিক সহিংসতা ছড়িয়ে পরতে পারে গ্রামে।কয়েকদিন আগের নির্বাচনে এরা দুই প্রার্থির সমর্থক ছিলো।
এ বিষয়ে মোবারক হাওলাদারের ছেলে সাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বাবারে তারা মারছে আমরাই তাদের মারবো। আজ কিংবা কাল আমি ওদের মারবোই।
আবু আলেম হাওলাদারের ছেলে মাহাবুব হাওলাদার জানান, বিচার চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করেই তারা আমাদের বাড়িতে হামলা করে আমাদের ঘর-দরজা ভাংচুর করে এবং ঘরের মধ্যে লুটপাট চালিয়ে নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা লুটসহ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। তাদের অস্ত্রের মহড়ার মুখে আমরা এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এছাড়া দুই পক্ষের দুইটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।