ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মুক্তিযুদ্ধাদের বীর নিবাস বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য সাপ্তাহিক সাকিয়াতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল তেপান্তরের সম্পাদক সীমান্ত খোকন বিজয়নগরের ইউএনও’র সাথে সাক্ষাৎ করে তার বক্তব্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে রের্কড করার কথা জানালে অসৌজনমূলক আচরন করেন ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, “আপনি কি মোবাইল দিয়ে আমার বক্তব্য রেকর্ড করবেন ? আপনি কি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড জানেন ? আমি যখন মিনিস্ট্রিতে ছিলাম তখন আমার পিছনে অলটাইম ১৫টি ক্যামেরা থাকতো। আর আপনি কিনা আমার বক্তব্য মোবাইলে রের্কড করবেন।”
এবিষয়ে সাংবাদিক সীমান্ত খোকন বলেন, একজন বিসিএস ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তার দ্বারা এমন আচরন সত্যিই হতাশাজনক। এটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। মানুষের আচরনে অনেক কিছুর পরিচয় ফুটে উঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেলেনা পারভীন বলেন, ‘ আসলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য রেকর্ডের জন্য কী ধরনের ক্যামেরা ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে আইনে কিছু বলা নেই তবে স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকে বিধায় তাৎক্ষণিকভাবে বক্তব্য এডিট করে বিকৃত করে ফেলা যায়। এজন্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি তার অফিস থেকে সরবরাহকৃত ভিডিও ক্যামেরায় বক্তব্য রেকর্ড করা উত্তম। ‘ মিনিস্ট্রিতে থাকাকালীন সময়ে উনার পেছনে সবসময় চৌদ্দ পনেরোটি ক্যামেরা ঘুরতো এমন মন্তব্য উনার দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ কিনা জানতে চাইলে এটা তার ব্যাক্তিগত মন্তব্য বলে কৌশলে তিনি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।