মোঃ সাইফুল ইসলাম,ধামরাই প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া বাস টার্মিনালের পাশে বসতবাড়ির বিল্ডিংয়ে বসেছে প্রায় প্রায় ১০ বছর যাবৎ প্রায় দুই ডজন মৌচাক। এ থেকে প্রতি বছর দেড়-দুই মণ খাঁটি মধু আহরণ করে বিক্রির মাধ্যমে ভালো টাকা আয় হচ্ছে তার। ওই মৌচাকগুলো দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করছেন।
উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের বাবুল হোসেনের বসতবাড়ির বিল্ডিংয়ের চারদিকে বসেছে মৌমাছির মেলা। গত ১০ বছর যাবৎ মৌমাছিরা ওই বিল্ডিংয়ে মৌচাক তৈরি করে মধু আহরণ করে। প্রায় পুরো বছর ধরেই ওই বাড়িতে কম-বেশি মৌমাছি থাকে।
জানা গেছে, সারাদিন আশপাশে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত থাকে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চারদিকে ম-ম গন্ধ ছড়িয়ে উড়ছে মৌমাছির দল।
বাড়ির মালিক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমাদের বাড়ির এই বিল্ডিংয়ে ২৫-৩০টি মৌচাক বসে। এবারও ২২ টি মৌচাক তৈরি হয়েছে। এসব মৌমাছি আমাদের কোনো ক্ষতি করে না।
তিনি আরও জানান, সারা বছরই মৌচাক থাকে। কিন্তু শীত এলে ঝাঁকে-ঝাঁকে মৌমাছি এসে তার বাড়িতে মৌচাক তৈরি করে। মাস দুয়েক পর আবার চলে যায়। গত বছর ২৫টি মৌচাক ছিল। এবার ২২টি মৌচাক বসেছে।
প্রতিবেশী স্থানীয় রহমান বলেন, আমার জানামতে, ৮-১০ বছর যাবত সাড়া বছর জুরে ওই বাড়িতে মৌচাক বসে। খবর শুনে এলাকার এবং দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে আসেন ওই মৌচাক । মৌচাক কাটার দিন খাঁটি মধু নেয়ার জন্য মানুষ লাইন ধরে অপেক্ষা করেন।
মৌয়াল সিরাজ বলেন, আট -দশ বছর ধরেই ওই বাড়ির বিল্ডিংয়ে মৌমাছির চাকগুলো কেটে আমি মধু নামাই। অন্যান্য বছর ২৫-৩০টি চাক বসলেও এবার বসেছে ২২টি। তাই অন্যবারের তুলনায় এবার মধু কম হবে। আগেরবার প্রতি কাটায় ২৮-৩০ কেজি মধু তুললেও এবার পাওয়া যাচ্ছে ২০-২২ কেজি। বাড়ির মালিককে অর্ধেক দিয়ে বাকিটুকু আমি নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হাসান বলেন, সম্ভবত ওই বাড়িতে রানী মৌমাছির জন্ম বা উৎপত্তি হয়েছিল, তাই প্রতি বছরই দীর্ঘ সময় ধরে মৌমাছিরা ওই বাড়িতে নিরবে বাসা বেধে থাকে । তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় জমিতে অধিক সরিষার আবাদ হওয়ায় ফুলের পরিমাণও বেশি। মধুর একমাত্র উৎস ফুল, তাই মৌমাছিরা এখানেই আসে।