দুই মাস ২৯দিন পর ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দান বাক্স খোলা হয় শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায়। ৮টি দানবাক্সে ৩ মাসে এবার জমা পড়েছে ১৫ বস্তা টাকা।
প্রতি তিন মাস পরপর জেলা শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটির আটটি দানবাক্স খোলা হয়। করোনার প্রাদুর্ভাবকালে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হতো চার মাস পর পর। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘৮টি দানবাক্স খুলে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ সঠিকভাবে বলা যাবে।’
এ সময় সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী ও নাবিলা ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। এই কাজে মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্র, ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, শনিবার সকালে ৮টি দানবাক্স খোলার পর ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনা। গণনার শেষে কী পরিমাণ টাকা, সোনা, রুপা বা বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে তা সঠিকভাবে বলা যাবে।
উল্লেখ্য এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ২০ দিনে এই দানবাক্সগুলোয় জমা পড়েছিল ১৬ বস্তা টাকা। সেই বস্তাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে দিনভর গণনা শেষে ১৬টি বস্তায় পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। এ ছাড়া জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। প্রতি শুক্রবার লাখো মুসল্লির আনোগোনায় মুখরিত থাকে এ সমজিদ।