মালয়েশিয়ার উপ-অর্থমন্ত্রী প্রতিনিধিদের দ্বিপাক্ষিক সভায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সদর দপ্তরে বার্ষিক সভার অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার উপ-অর্থমন্ত্রী/প্রতিনিধিদের দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ঊর্ধ্বগামী বাণিজ্য বিদ্যমান। ২০২০-২১ অর্থবছরে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মালয়েশিয়া থেকে আমদানি ছিল ১.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির সব সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ অবশ্যই কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আরও অধিক পরিমাণে জনশক্তি রপ্তানি করতে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরেও আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি এটি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে আরও বাণিজ্যিক/অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার পথ প্রশস্ত করবে। প্রয়োজন অনুপাতে এলএনজি আমদানির বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই। মালয়েশিয়া আমাদের এফডিআইয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস দেশ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানত টেলিকম খাতে মালয়েশিয়া থেকে এফডিআই স্টক দাঁড়িয়েছে ৭৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার দিক থেকে বাংলাদেশ এফডিআইয়ের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
এ নিয়ে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, আরও অধিক পরিমাণে এলএনজি আমদানি ও জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছেন দেশটির উপ-অর্থমন্ত্রী দাতো মোহাম্মদ শার আব্দুল্লাহ।