পটুয়াখালীর বাউফলে গভীর রাতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহত দুই জেলে।

রিয়াজ হোসেন, পটুয়াখালী ;

পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিনিয়ত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে হাজারও জেলে পরিবার। সেখানেও জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে হচ্ছে জেলে পরিবারগুলোকে। বেপরোয়া লঞ্চ চালানোর কারনে প্রায়ই দেখা যায় লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় অনেক জেলেদেরকে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের সময় স্বপন বেপারি(৪০) তার ছেলে আবদুল্লাহ(১২) কে নিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের জন্য জাল ফেলে তারা নৌকায় অবস্থান করছিলেন। পায়রা বন্দর রুটের জামাল ৮ লঞ্চ ফোকাস লাইট না জালিয়ে আচমকা এসে তাদের নৌকায় ধাক্কা দেয় এবং নৌকা উল্টে যায়, মুহুর্তের মধ্যে তারা নদীতে তলিয়ে যায়।
স্বপন বেপারি বলেন আমি লঞ্চের সাথে ধাক্কা খেলে আমার মাথায় আঘাত লাগে তারপর ও আমি হুস হারাইনি কারন আমি আমার ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি ব্যাকুল হয়ে ডাকাডাকি করি এবং ছেলেকে খুজতে থাকি অনেক খোজাখুজির পরে ছেলে আমাকে ডাক দিয়ে বলে আব্বা আমিতো শেষ। এরপর অন্য এক জেলে নৌকা এসে আমাদেরকে উদ্বার করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। চোখ খুলে দেখি আমার ছেলের সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে কারন আমার ছেলে ডুবে লঞ্চের তলায় চলে গিয়েছিল হয়তো হায়াৎ থাকার কারনে আল্লাহ ওকে বাঁচিয়েছেন।
পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদেরকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আমার ছেলে আবদুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কারনে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
স্বপন বেপারি কেদে কেদে সাংবাদিকদের বলেন, পেটের তাগিদে মাছ ধরে খাই তাও যদি না পারি তাহলে আমরা খাব কি? কে দিবে আমাদের পেটের ভাত আর কেবা দিবে নিরাপত্তা ?