পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানা এলাকার রূপপুরে গৃহবধুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
রোববার(২৫ সেপ্টেম্বর)ভোর ৪ টার দিকে আমিনপুর থানা এলাকায় গৃহবধু শিউলী খাতুন(২৮)এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গৃহবধুর বাবা ও স্থানীয়দের অভিযোগ শিউলী খাতুনকে তার স্বামী বিদুৎ হত্যা করেছে।
নিহত শিউলী খাতুন আমিনপুর থানা এলাকার বাদাই গ্রামের বিদুৎতের স্ত্রী ও আমিনপুর থানা এলাকার রূপপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনে(তুজাইয়ের) মেয়ে।
প্রতিবেশী মকলেছুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ হোসেন মালয়েশিয়া থাকতেন সাত আটমাস আগে দেশে ফিরে শিউলী খাতুনকে বিয়ে করেন। শিউলী খাতুন বিদুৎতের দ্বিতীয় বিবাহিত স্ত্রী তাকে বিয়ে করে শিউলীর বাবা তোজাম্মেল শেখে ওরফে তুজাইয়ের বাড়িতেই বসবাস করতেন। নিহত শিউলী খাতুনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জানান,৮ মাস আগে সুজানগর উপজেলার বাদাই গ্রামের মোকছেদ ওরফে পুকাই শেখের ছেলে বিদুৎ(৩৮)এর সাথে তার মেয়ের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।বিবাহের পর থেকে মেয়ে শিউলী খাতুন তার পিতার বাড়িতেই বসত করতেন।
নিহত শিউলী খাতুনের মা করিমন বেগম বলেন, গত রাত ১০ টার দিকে আমার মেয়ে শিউলী তার স্বামীর সাথে খাওয়া শেষ করে তাদের রুমে ঘুমাতে যায়। ভোর ৪ টার দিকে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি শিউলীর ঘরের দরজা খোলা। তাৎক্ষনিক শিউলীর বাবাকে নিয়ে রুমে যেয়ে দেখি আমার মেয়ের গলা কাটা অবস্থায় মাটিতে পরে আছে সমস্ত ঘরে আমার মেয়ের রক্তে লাল হয়ে আছে। শিউলী খাতুনের মা আরও বলেন,আমার মেয়ে শিউলীকে তার মেয়ের জামাই বিদ্যুৎই গলা কেটে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারী বিদ্যুৎতের ফাসী চাই।
এ বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রওশন আলী জানান, তারা এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের দেয়া খবরের সূত্রধরে লাশ উদ্ধার করে করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা গ্রহন করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার পুর্বক হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হবে।