ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে সম্রাটের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল।
বুধবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট ঢাকায় ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা হিসেবে পরিচিত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বারজজ আদালত। এর পর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি আদেশের জন্য রাখেন আদালত।
এর আগে গত ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন শর্তে জামিন পান সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ জামিন মঞ্জুর করেন।
শর্তগুলো হলো— আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করতে পারবেন না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।
এটি ছিল সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে সবশেষ মামলার জামিন। এর আগে তিন মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। ফলে সব মামলায় জামিন হওয়ায় তিনি মুক্তি পান।
এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পরের বছর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।