আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ
আগামী সেপ্টেম্বরে দেশের পুঁজিবাজারের মধ্যে চালু করা হবে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো আরেক পণ্য এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সাইফুর রহমান মজুমদার ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
তারিক আমিন ভূঁইয়া আলোকিত স্বদেশকে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইটিএফ চালু হবে। এটা অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই একটা পণ্য, যা অ্যাসেট ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হবে এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই ট্রাস্টি থাকবে। এছাড়া ইটিএফ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে এবং লভ্যাংশ দেবে। এই ইটিএফ থেকে নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। চাইলেই যেকোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে ইটিএফের যাত্রা শুরু করা হবে। এই ৫০ কোটি টাকা অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই সংগ্রহ করা হবে এবং তা দিয়ে অ্যাসেট ম্যানেজার শুধুমাত্র ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করতে পারবে। এমনকি ওই ৩০ সূচকের প্রতিটি কোম্পানিতে ওয়েটেড অ্যাভারেজ ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হবে।
ডিএসইর এমডি আলোকিত স্বদেশকে বলেন, ৫০ কোটি টাকার ইটিএফ গঠনের জন্য উদ্যোক্তা ১০ শতাংশ হারে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাসেট ম্যানেজার ২ শতাংশ হারে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বাকি ৪৪ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে ইটিএফ অনেক নিরাপদ। ইটিএফ কখনো ধ্বংস হয় না। প্রথম ইটিএফ গঠন হবে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে। এখন ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে যদি কোনো একটি ডিএসই-৩০ সূচক থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে ইটিএফের অ্যাসেট ম্যানেজার সেই কোম্পানির সিকিউরিটিজ বিক্রি করে দেবে এবং ৩০ সূচকে নতুন যে কোম্পানি আসবে, সেই কোম্পানির সিকিউরিটিজ কিনে নেবে।