আলোকিত স্বদেশ ডেস্কঃ
তার পুরো নাম ছিল আহসান আলী।একসময় গ্রামে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি । পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কমেডি অভিনয় দেখে তাঁর মধ্যে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। নব্বই দশকের শেষের দিকে গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দল নিয়ে কালি মেখে অভিনয় করতেন।
গ্রামেই সে সময়েই মুখে মুখে ছিল তাঁর নাম। সব অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক পড়ত। পরে অডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেন। গ্রাম ছাড়িয়ে জেলা, পরে দেশের একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সারা দেশের দর্শকের কাছে টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষায় জনপ্রিয় হতে থাকেন। দোকানে ও গ্রামে তাঁর অ্যালবামের ভালো চাহিদা ছিল। এরপর ভিডিও বানিয়েও সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ‘ভাদাইম্যা’খ্যাত এই অভিনেতা।
দীর্ঘ ১০ বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন অভিনেতা আহসান আলী । ক্যানসার নিয়েও এই অভিনেতার মনোবল অটুট ছিল। চিকিৎসা শেষে শুটিং করতেন। জীবনের শেষ সময়েও দর্শকদের হাসিয়ে গেছেন। অনেক স্বপ্ন ছিল আবার সুস্থ হয়ে দর্শকদের হাসাবেন। শুটিংয়ের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। রবিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন।
তিনি আলোকিত স্বদেশকে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর আহসান আলী ভাই ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। এরপর থেকে প্রতি দুই মাসে একবার রক্ত পরিবর্তন করতে হতো। এ জন্য ঢাকায় আসতেন। চিকিৎসা নিয়ে আবার গ্রামে ফিরে অভিনয় করতেন। তাঁর একটি দল ছিল। তিনি অসুস্থ হলেও মনোবল শক্ত ছিল। তাঁকে দেখে বোঝা যেত না তিনি অসুস্থ। হঠাৎ দুই সপ্তাহ হবে তাঁর অসুস্থতা বেশি হয়। সে সময়েই তিনি ঢাকায় যান। সকালে শুনলাম তাঁর অবস্থা সিরিয়াস। তিনি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। গ্রামে মানুষের কাছে ‘জোকার ভাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। সবার পছন্দের মানুষ ছিলেন তিনি।