আরেক সংক্রামক ভাইরাসের নাম মাঙ্কিপক্স

আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আরেক সংক্রামক ভাইরাস মাঙ্কিপক্স। আক্রান্ত কিছু রোগীর জন্য এ ভাইরাস প্রাণঘাতীও হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মাঙ্কিপক্স নিয়ে ঢাকাসহ দেশের সব বিমানবন্দর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হবে।এমনটাই জানিয়েছেন  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।

এম. মফিদুর রহমান  আলোকিত স্বদেশকে আরও বলেন, বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে একটি হেলথ ডিক্লারেশন ফরম দেওয়া হবে। সেখানে ওই ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কি না, তার মাঙ্কিপক্সের কোনো লক্ষণ আছে কি না এবং সে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত কোনো দেশে ভ্রমণ করেছে কি না— এমন তথ্য জানতে চাওয়া হবে। তারা যে উত্তর দেবেন সেটিকে ভেরিফাই করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসকরা। এছাড়া মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে যাত্রীর চেহারা ও শরীর দেখেই বোঝা যাবে। চিকিৎসকরা স্বচক্ষে যাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়া এয়ারলাইন্সের ক্রুদের মাঙ্কিপক্সের বিষয়ে ব্রিফ করবে বেবিচক।

‘মাঙ্কিপক্স’ মূলত গুটিবসন্ত বা চিকেনপক্স গোত্রেরই রোগ। তবে, এটি গুটিবসন্তের থেকে কম মারাত্মক, মৃত্যুর হার ৪ শতাংশেরও নিচে। বেশিরভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠে।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার পর রোববার এই রোগ শনাক্ত করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যেও। আফ্রিকার বাইরে ‘মাঙ্কিপক্সের’ এই অস্বাভাবিক বিস্তারই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বছরের পর বছর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই রোগকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।

এদিকে ‘মাঙ্কিপক্স’ রুখতে প্রথম দেশ হিসাবে বেলজিয়াম কোয়ারেন্টাইন জারি করলেও, বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। রোববার ব্রিটেনে আরও ১১ জনের ‘মাঙ্কিপক্স’ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। বর্তমানে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয়েছে।

এই ভাইরাল রোগ বর্তমানে বিশ্বের মোট ১৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং সুইডেন – এই ১২টি দেশে অন্তত ৯২টি মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।