ধামরাই (ঢাকা) থেকে:
ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ে করতে বিলম্ব করায় প্রেমিকার বিরুদ্ধে প্রেমিকের জিহ্বা কেটে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রেমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের ফড়িঙ্গা গ্রামে প্রবাস ফেরত এক নারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় প্রেমিক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, মো. রহম আলীর ছেলে নরসুন্দর মো. সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ১৫ বছর আগে প্রবাসে গিয়ে আর দেশে ফেরেননি। সম্প্রতি সাইফুল ইসলামকে প্রবাসে থাকা স্ত্রী তালাক প্রদান করে নোটিশ পাঠান।
এর মধ্যে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে এলাকার শফিকুল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে শারমিন আক্তারের (২৫) গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শারমিন আক্তারও বিদেশ ছিলেন। দুই মাস আগে তিনি দেশে এসেছেন।
সাইফুল ইসলাম বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এতে প্রেমিকা শারমিন আক্তার সাইফুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তিনি সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম প্রেমিকার বাড়িতে গেলে তাকে খাসকামরায় বসতে দেয় প্রেমিকা। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে মিলিত হলে প্রেমিকা শারমিন আক্তার কৌশলে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করে ফেলেন।
প্রেমিকার পিতা শফিকুল ইসলাম, মা পানকা বেগম, ভাই ফারুক হোসেন ও নানা সোরহাব হোসেন মিলে প্রেমিক নরসুন্দর সাইফুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে সাইফুল নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তারা তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে এসআই তন্ময় সাহা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিকের কেটে রাখা জিহ্বা জব্দ করেন। তবে বাড়িতে কাউকে না পাওয়ায় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক তন্ময় সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রেমিক নরসুন্দরের কেটে রাখা জিহ্বা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।