চলে গেলেন শেকড়সন্ধানী লেখক সরকার আবুল কালাম

আল আমিন  মুন্সী

চলে গেলেন নরসিংদীর শেকড় সন্ধানী লেখক সরকার আবুল কালাম ।  সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় নরসিংদী সদরের সাটিরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেন তার পারিবারের ঘনিষ্ঠজন  জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মালিক সমিতি বাংলাদেশ ( নাসিব) এর নরসিংদী শাখার সভাপতি মো. রুস্তম আলী।

সরকার আবুল কালাম ১৯৪৪ সালে নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বাউশিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম আব্দুল হেকিম পন্ডিত ও মা মরহুম সুফিয়া বেগম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।  সবমিলিয়ে তার লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫ টির অধিক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা না থাকলেও বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্খ ছিলেন ।  সবশেষ, সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য ,  গুনী এই লেখকের প্রাথমিক শিক্ষা করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । তিনি রায়পুরার আদিয়াবাদ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি,  তৎকালীন নরসিংদী মহাবিদ্যালয় থেকে  এইচ.এস.সি ও বি.এ সম্পন্ন করেন।

সবশেষ,  বি.এড কোর্স করেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে।ছাত্রঅবস্থায় তিনি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। তার প্রথম উপন্যাস  চমন। এছাড়াও নরসিংদীর শহিদ বুদ্ধিজীবী,  কন্যা জায়া জননী, নরসিংদীর মুক্তিযুদ্ধ, নরসিংদীর গুনিজন,মানুষ আর মনুষ্যত্বের ভাবনা লিপি, নরসিংদীর ঐতিহ্য কথা, নরসিংদীর চর এলাকার মাটি ও মানুষসহ বিভিন্ন বইয়ে আঞ্চলিক শেকড় খুজেছেন। যার ফলে স্খানীয়ভাবে তিনি শেকড়সন্ধানী লেখক স্বীকৃতি পেয়েছেন।

সবশেষ, চলতি বছরের জুলাইয়ে নরসিংদী জেলা শিল্পকলা একাডেমি তাকে গুনীজন সম্মাননা প্রদান করে। এছাড়াও আলাউদ্দিন আল আজাদ সাহিত্য পুরষ্কর ,নীলাচলে কলাবিতান সাহিত্য পুরস্কার সম্মাননা সহ নানা সম্মানে ভূষিত হন।

উন্মোচন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা  মাহবুব আলম বলেন ,  স্যারের এই চলে যাওয়াতে নরসিংদীর সাহিত্য অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে। পথ মসৃন নয় জেনেও এই লোকটি নরসিংদীর ঐতিহ্য খুজেছেন। শেকড়ের টানে ঘুরেছের চরাঞ্চল,  খুজেছেন এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধ এবং সমৃদ্ধ করতে চেয়েছেন এখানকার সাহিত্যকে।