রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর কেন্দ্রস্থল নরসিংদীর মাধবদী।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর বংশালে ভূমিকম্পে ভবনের রেলিং ধসে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রূপগঞ্জে দেয়াল ধসে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভবন ধসের খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের পরবর্তী সময় আফটারশকের সম্ভাবনা থাকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, আপাতত এই ভূমিকম্পের আফটারশকের কোনো সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি। তিনি জানান, অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটি মধ্যম বা মডারেট মাত্রার, যার শক্তি খুব বেশি নয়, কিন্তু স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়।
সাধারণত এই ধরনের ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে ৪.৫ থেকে ৬.০ মাত্রার মধ্যে হয়। এ ধরনের ভূমিকম্পে মাটির কাঁপা স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়, বাড়ির মধ্যে আসবাবপত্র বা হালকা বস্তু নড়তে পারে, তবে সাধারণত বড় ধরনের ধ্বংস বা প্রাণহানি ঘটে না।
তিনি আরও জানান, মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কিছু সময় আফটারশকের সম্ভাবনা থাকে, তবে সব সময় তা তীব্র হয় না। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো না খুব দুর্বল, না খুব শক্তিশালী—মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প, যা স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে কেঁপে ওঠার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।







