বইমেলায় আতিকা রহমানের কাব্যগ্রন্থ ‘সংলাপহীন শূন্যতা’

বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে তরুণ সাংবাদিক ও লেখক আতিকা রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ সংলাপহীন শুন্যতা। বইয়ে বেশিরভাগ কবিতা লেখা হয়েছে প্রেম, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা, বিষণ্নতা ও প্রকৃতি নিয়ে। কবিতাগুলোয় প্রকৃতি ও প্রেমের দারুণ রসায়ন প্রকাশ পেয়েছে। ইতোমধ্যে তরুণ পাঠকদের মধ্যে আলোচনায় এসেছে বইটি। চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে প্রকাশ হয়েছে কাব্যগ্রন্থটি।

আতিকা বলেন, লেখালেখির শুরুটা একদম শৈশবকাল থেকে। আমি যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি, তখন প্রথম কবিতা লিখি। সেটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশ হয়। ছোটবেলা থেকেই নাটোরের স্থানীয় পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন ও জাতীয় দৈনিকে কবিতা লিখেছি।

আতিকা রহমান আরও বলেন, আমার পরবর্তী বইটা হবে শিশুদের গল্পের বই। অনেকগুলো গল্প লেখা হয়েছে। বাকি কিছু গল্প লিখে এ বছরের শেষের দিকে প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। আর গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি ছোট গল্প লিখেছি। আর কয়েকটি গল্প লিখে আগামী বই মেলায় একটু গদ্যের বই প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। আমার মূল পেশা সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। আমার ভেতরের যে বোধ, চিন্তা মনন কাজ করে তা প্রকাশ করতে চাই লেখার মাধ্যমে। আমার লেখা আমার ভাবনার জগত ও ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন। আগামীতে লেখালেখি আরেকটু সিরিয়াসলি নেবো।

সংলাপহীন শূন্যতা বইয়ের উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো, সংলাপহীন শুন্যতা, বিনিদ্র রাতে, পোড়ামন, কৃঞ্চবিল, জন্ম মৃত্যু, কুয়াশার জাল, লাল সূর্যমুখী, মাতাল হরিণ, যুগ্মতার ভাষা, স্বপ্নজাল, ধুসর বসন্ত, বনলতার মনফুল।

আতিকা রহমানের জন্ম নাটোর জেলায়। অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। সাংবাদিকতার জন্য বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন ধরে।