দখলদার ইসরাইলের ইয়ারা এবং সেন্ট জিনের সামরিক ঘাঁটিতে সমন্বিত বিমান হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। একঝাঁক একমুখী ড্রোনের মাধ্যমে পরিচালিত এ আক্রমণটি ইসরাইলি সেনা সমাবেশ পয়েন্টগুলোকে লক্ষ্য করেই চালানো হয়। যাতে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সোমবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে, ইয়ারা-কে ইসরাইলি বাহিনীর ৩০০তম টেরিটোরিয়াল ব্রিগেডের সদর দফতর এবং সেন্ট জিনকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর উত্তর কমান্ডের লজিস্টিক ঘাঁটি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর টায়ারের কাছে কাদমাস এলাকায় চালানো ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ড্রোন হামলার পাশাপাশি, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জারিত ব্যারাক এবং আশেপাশের সমাবেশ পয়েন্টে রকেট এবং আর্টিলারি হামলাও চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে জারিত ব্যারাকের কিছু অংশ ধ্বংস হয়েছে এবং আগুনে পুড়ে গেছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এ অভিযানগুলো গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এবং তাদের প্রতিরোধের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে আল মায়াদিনের এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো পশ্চিম আল-জলিলে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইসরাইলি সামরিক সাইটগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হ্যাডশট হ্যামোট জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলায় ওই এলাকায় এক সৈন্য নিহত হয়েছে এবং ৬ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
ইসরাইলি মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনা ব্রিগেডের সদর দফতর ইয়ারা-তে হিজবুল্লাহর হামলা একটি গুরুতর ঘটনা। লেবানন থেকেই এই ড্রোন এবং রকেট হামলা চালানো হয় এবং সেগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
এদিকে ইসরাইলের নাহারিয়া এলাকায় ছোড়া রকেট ব্যারেজকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন ইসরাইলি মারিভ পত্রিকার সামরিক সংবাদদাতা আভি আশকেনাজি। ইসরাইলি মিডিয়াকে তিনি জানিয়েছেন, সেখানে ড্রোন বিস্ফোরণের পর অন্তত তিনজন আহত ব্যক্তিকে নাহারিয়া মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্র: আল-মায়াদিন