বিজয়কে নস্যাৎ করতে আ.লীগ দিল্লি বসে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা ফখরুল

ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করে দিতে আওয়ামী লীগ দিল্লি বসে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ছাত্র জনতার বুকের রক্তের উপর অর্জিত বিজয়কে ম্লান করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপকর্মে যারা জড়িত হয়েছেন, দেশ প্রেমিক নয় দেশদ্রোহী। তাদেরকে রুখে দিতে হবে। আরেকটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে। আমাদের সন্তানদের বুকের রক্তের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তা আমরা নষ্ট হতে দিতে পারি না। এক ফ্যাসিবাদ গেছে, আরেক নয়া ফ্যাসিবাদকে আমরা আমদানি করতে পারি না। ওই আওয়ামী লীগ আজকে দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশের বিজয়কে ভণ্ডুল করে দিতে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের যে শত্রু, যাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে, তাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জনগণের ভালোবাসা পেতে পারে বলে আমি মনে করি না।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার এমন গণ আন্দোলন একাত্তরে দেখেছি আর ২৪’এ দেখলাম। যেখানে তরুণ প্রজন্ম বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। এখনো আমরা স্বাধীন হয়েছি ঠিকই, কিন্তু স্থিতিশীল হতে পারিনি। এখনো গণতন্ত্রকে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সকলের সহযোগিতা করতে হবে। তারা অল্প সময়ের ভেতর ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই রাষ্ট্রকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে। এ সময় কোনো নেতিবাচক কাজ করা ঠিক হবে না। আমরা অতীতের মতো সফল হবো। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক একটা পার্লামেন্ট গঠন করতে পারবো। ৩১ দফায় আমরা সংস্কারে কথা বলেছি, ছাত্র নেতারাও সংস্কারের কথা বলেছে। এই সংস্কারকে আমরা স্বাগত জানাই। আজকে যে নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে, তাকে বরণ করে নিতে হবে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। সভার আয়োজন করে ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদ।
সভাপতির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া তার জীবদ্দশায় হাসিনার পতন দেখে যেতে পেরেছেন, এর চেয়ে আর বড় কিছু নাই। আন্দোলন সংগ্রামের নেতাকর্মীদের তুলনায় বর্তমানে চারগুণ বেড়েছে নব্য বিএনপি। রাজনৈতিক জীবনে আব্দুস সালাম তালুকদারের দর্শন পালন করতে পারলে আমরা বেগম খালেদা জিয়ার সার্থক রাজনৈতিক কর্মী হতে পারবো। বাড়াবাড়ি করলে কারও জন্য মঙ্গলজনক নয়।