আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি। আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি।’
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বসার খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। দেশের মানুষ আর তাদেরকে বিশ্বাস করে না। ২০০৮ সালেই সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে। আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি-জামায়াত। মানুষ পুড়িয়ে মারাই বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘রেল পোড়ায়, বাস পোড়ায়, গাড়ি পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে, আমাকে পর্যন্ত হত্যার চেষ্টা করেছে তারা। লন্ডনে বসে মানুষ হত্যার নির্দেশ আসছে। যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, ওই তারেকের কথা শুনে, যে টাকা আত্মসাৎ করেছে, জুয়া খেলেছে, ওই লম্পটের কথা শুনে বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ যখনই কাজ শুরু করে বিএনপি তখন বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- “কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।” আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। বলেছিলাম- নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ভাতা দিয়ে অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রাণখুলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোট বোন রেহানা আমার পাশে না থাকলে আমি দেশের জন্য এতো কাজ করতে পারতাম না।’
তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, আমি নিজের দিকে তাকাইনি।’
জনসভায় আগতদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই সমর্থন আমার একমাত্র শক্তি। এখানে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় যোগ দেন। শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা জনসভা স্থলে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাদের অভিনন্দন জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন হাত উঁচু করে এবং মঞ্চে ঘুরে ঘুরে জনসভায় উপস্থিত জনসাধারণের অভিনন্দনের জবাব দেন।