বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর ও বৃহত্তম শারদীয় শোভাযাত্রা রাজশাহীর : মেয়র লিটন

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন

রাজশাহী: রাজশাহী নগর ভবনের সিটি হল রুম (এ্যনেক্স ভবনে) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও রাজশাহী মহানগরীর পূজা উদযাপন কমিটি /মন্দির /ক্লাব এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক , রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি থানার ওসি – সকলকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন , সভাপতি মন্ডলের সদস্য ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ।

রাজশাহী মহানগরীর সফল মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ধর্ম যার যার আনন্দ সবার এভাবেই আমাদের রাজশাহীতে হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ -খ্রিস্টান সবাই একত্রে মিলেমিশে সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও বৃহত্তম শারদীয় শোভাযাত্রা একমাত্র রাজশাহীতেই হয়ে থাকে। সেটা আমরা ছোট থেকেই দেখে এসেছি আর এখন পর্যন্ত সেটাই আমরা ধরে রেখেছি। প্রতিবারের মতো এবারও পূজায় আমরা সবাই চেষ্টা করব কোন বিশৃঙ্খল ঘটনা যেন অন্তত রাজশাহীতে না ঘটে।

কিছু সংগঠন চায় আমাদের দেশটা কেউ আফগানিস্তানের মত করতে কিন্তু তারা কখনোই সফল হতে পারে না আমাদের রাজশাহীতে কখনোই না। এর আগে অন্য জেলায় এরকম করার চেষ্টা করে তারা সফল হতে পারে নাই বাংলাদেশ সরকার সেটার তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ বাহিনী ,আনসার , গোয়েন্দা পুলিশ ও র‍্যাবের টহল থাকবে ।

NESO এর অনিক কুমার রায় আপনাদের যেভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিয়ম-কানুন বলে দিয়েছে এবং কোন সমস্যা হলে হটলাইন নাম্বার দিয়ে দিয়েছে অবশ্যই সমস্যা হলে সেগুলোতে যোগাযোগ করবেন। এমনকি পূজা ডুবানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও ডুবুরি টিম আপনাদের সাথেই থাকবে। ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ইন্সপেক্টর সেলিম রেজা তার ডুবুরের টিম এবং বিদ্যুতের কারণে বা কোন কারনে যেকোনো জায়গায় আগুন লাগলে অবশ্যই তারা তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৈরি থাকবে। আমি ১৫ই অক্টোবর নতুনভাবে রাজশাহীর মেয়রের দায়িত্ব পালন করার পর এটাই আমার প্রথম অনুষ্ঠান সবাইকে আসার জন্য শুভেচ্ছা জানাই এবং প্রতিটি মন্দির কমিটিতে তিনি বলেন আপনাদের জন্য সাধারণ কিছু আর্থিক সহযোগিতা আমার পক্ষ থেকে অবশ্যই নিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, আমাদের মেয়র সাহেব সব সময় প্রতিটি ধর্মের মানুষকে একই চোখে দেখেন এবং সবার পাশে সব সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি আমাদের বলেছেন রাজশাহী ধর্মসভা মডেল মন্দির ও হনুমানজি আখড়া মডেল মন্দির খুব শীঘ্রই তৈরি করে দেবেন । এছাড়া তিনি দুর্গাপূজা উপলক্ষে সমস্ত মন্দিরের জন্য বিশ হাজার টাকা করে অনুদান বরাদ্দ করেছে। প্রতিটি মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে বিনীত নিবেদন আপনারা চেষ্টা করবেন আপনাদের কমিটির পক্ষ থেকেও সমস্ত কিছু করার যেন কোন উৎশৃঙ্খল ঘটনা রাজশাহী মহানগরীতে না হয়।

রাজশাহী বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিভুতি ভূষণ ব্যানার্জি বলেন, রাজশাহী গ্রীন সিটি নামে পরিচিত এর সাথে শান্তির শহর হিসেবেও আমরা জানি। আর এমপি পুলিশ সব সময় আপনাদের আশেপাশেই থাকবে যে কোন প্রয়োজনে আপনারা ৯৯৯ ফোন করবেন। আশা করি আমরা খুব সুস্থভাবে শারদীয় দুর্গোউৎসবকে পালন করতে পারব।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য এবং উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবু, রাজশাহী মহানগরীর পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে শরৎচন্দ্র সরকার ও পার্থ পাল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান এক ও পরিদর্শনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজকুমার সরকার সহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বৃন্দ ও মহিলা কাউন্সিলারা।