নিখোঁজের ৭ দিন পর মিলল মরদেহ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস অফিসের পেছনের একটি পুকুরে থেকে মাহমুদুল ফেরদৌস মামুন (২৬) নামে এক বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। নিহত যুবক রাজারহাট উপজেলার ছিনাইহাট গ্রামের অবসপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছবরুল হকের ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামুন সবেমাত্র ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছে। এর মধ্যে গত ৯ অক্টোবর নিখোঁজ হন মামুন। ওইদিন সন্ধ্যায় মামুন তার বড়ভাই মাহবুবুল ফেরদৌস রতনকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল ফোনে জানায় তাকে কয়েকজন আটকে রেখে ৫ হাজার টাকা দাবি করছেন। এ সময় বড় ভাই কাজে ব্যস্ত থাকায় টাকা পাঠাতে পারেননি। যদিও পরে তার ভাই টাকা পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করতে চাইলেও ব্যর্থ হন। এরপর পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে রাজারহাট থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করা হয়।

জিডির সূত্র ধরে পুলিশ রোববার (১৫ অক্টোবর) রাতে ৩ জনকে আটক করলে একটি মামলা রুজু হয়। আটককৃতদের সূত্র ধরে পুলিশ ও পরিবার জানতে পারে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় মামুনসহ কয়েকজনের ধস্তাধস্তি হয়। পরে দৌড়ে সবাই আরডিআরএস অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে। এই সূত্র ধরে পুলিশ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পাশে মামুনের ছেঁড়া কালো গেঞ্জি খুঁজে পাওয়া পায়। পরে আরডিআরএসের পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন, নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৯ তারিখ রাজারহাট থানায় জিডি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে গতরাতে ৩ জনকে আটক করি এবং থানায় মামলা রেকর্ড হয়। আজ আমরা নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।