ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ এখন পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে স্বপ্নের ট্রেন। এতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকার মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে বহনের জন্য বিশেষ ট্রেনের মহড়া চলছে।
আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন হতে চলেছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ৮২ কিলোমিটার রেলপথ প্রস্তুত করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে প্রথমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশনে ফলক উন্মোচন, সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর রেলযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চলসহ পদ্মা সেতুর ২ পারের মানুষ অধীর আগ্রহে সময় পার করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে চলছে রেলের ট্রায়াল রান। সোমবার ব্যাপক নিরাপত্তার মাঝে প্রধানমন্ত্রীকে বহনের জন্য প্রস্তুত করা বিশেষ ট্রেনের মহড়া চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন সরকারপ্রধান। উপস্থিত থাকবেন দেশি-বিদেশি প্রায় দেড় হাজার অতিথি।
পরে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে টিকিট কেটে দুপুর ১২টায় মাওয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৮৬ জন অতিথি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌঁছবেন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং শেষে বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী ট্রেন ভ্রমণ করবেন প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এরই মধ্যে মাওয়া স্টেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। নিমতলা, শ্রীনগর, শিবচর, ভাঙ্গাসহ বাকি স্টেশনগুলোর কাজও ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ট্রেন চলার জন্য চালু করা হয়েছে কম্পিউটার-বেসড সিগন্যাল সিস্টেম।
এরই মাঝে ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এবং মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা রেল প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।