প্রেমের টানে বাড়ছে কিশোর-কিশোরী পালানোর সংখ্যা

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ  গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রেমের টানে কিশোর-কিশোরী পালানোর সংখ্যা অতীতের তুলনায় এখন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উঠতি বয়সের এই সব কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে একদিকে যেমন বিপদে পরেছে অভিভাক, অন্যদিকে বিব্রত কর অবস্থার মধ্যে পরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত এক বছরে এমন কাণ্ডের সংখ্যা প্রায় ১০০ বেশি বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতনসহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে থানার ওসি মাসুদ রানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আগের তুলনায় পলাশবাড়ী উপজেলায় গত কয়েক মাসের বেশ কিছু তরুণী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এদের একটি অংশ প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। প্রশাসনেও বেড়েছে উদ্বেগ।

এ বিষয়ে সচেতন ব্যক্তির জানান, স্বাভাবিক কারণে শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্ট মোবাইল ফোন। এ থেকে শিক্ষার্থীর অনেকে জড়িয়ে পড়ছে চেনা-অচেনা বন্ধুদের প্রেমে। এ কারণে অপ্রাপ্ত কিশোরীরা প্রেমিকের হাত ধরে ঘরছাড়া হচ্ছে।

একাধিক অভিভাবক বলেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ছেলে-মেয়েরা প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছ।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা তৈরি না হলে শুধুমাত্র আইন দিয়ে কোনভাবেই এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত থানায় আসছে এমন অসংখ্য ঘটনা। এদের অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। এরা সবাই কিশোর-কিশোরী।

এর কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, পারিবার গুলোর অসচেতনা। ফলে দিন দিন এর প্রবনতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরকম অভিযোগ প্রতি মাসে কমপক্ষে ১৫ টির বেশি। যা আগামীর জন্য সামাজিক অবক্ষয়ের মুল কারণ। আবেগে পরে এসব শিশু কিশোর যখন পালিয়ে যায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের হাতে হস্তান্তর করলে তারা বাবা-মাকে পর্যন্ত অস্বীকার করার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন, কিশোর-কিশোরীদের বাল্য বিয়ে, মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদসহ সামাজিক অবক্ষয় রোধ কল্পে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। খুব শীঘ্রই মাধ্যমিক স্কুল গুলোতে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।