ডাঃ অনুপস্থিতি ও অব্যাস্থাপনায় জরজীর্ন জাজিরা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স

সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা প্রতিনিধি,শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক ডাঃ শায়লা নাজনীন ও এ্যনেস্থেসিয়া ডাঃ সালাউদ্দিনের অনুপস্থিতির কারনে, এক বছর ধরে বন্ধ হয়ে গেছে মাতৃসেবা ও গাইনি চিকিৎসা এবং সিজারিয়ান সেবা কার্যক্রম। নেই এক্সরে ও রোগ নির্নয়ের মেশিন অপারেটর।ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়েও চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন না, অনেকেই। আর সিজারিয়ান ও মাতৃসেবা একেবারেই বন্ধ,সেবা না নিয়ে ফিরে যেতে দেখা যায় প্রায় প্রতিদিনি। এতে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে হাসপাতালে আসা সেবা বঞ্চিতদের মধ্যে। তাদের মতে, যারা এখানে সেবা দানে অনুপস্থীত তাদের প্রতি দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক। কেনো তারা উপস্থিত না হয়ে বেতন নিবে,আর কেনোইবা আমরা সেবা বঞ্চিত হবো?

জাজিরা সাধারন ৫০ শয্যা ও ট্রমা সেন্টারে ১৪ শয্যা মিলিয়ে ৬৪ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল।হাসপাতালটি আধুনিক হলেও ডাক্তার নেই তেমন, উপজেলার ইউনিয়ন স্যাটেলাইট ক্লিনিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারগনকে সার্বক্ষনিক এখানে রেখেও রোগির সেবাদান করা সম্ভব হচ্ছে না।অপরদিকে ইউনিয়ন সেবা হচ্ছে বন্ধ।আর দেড় বছরে ডাঃ শায়লা নাজনিন ৩টি সিজারে উপস্থিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে উপস্থিত দেখেছেন এক মাস।আর এনেস্থেসিয়ার ডঃ সালাউদ্দিনের উপস্থিতি একি রকম, এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দির্ঘ পাঁচ বছর পরে,ডঃ মাহামুদুল হাসান ও রোমান বাদশার প্রচেস্টায় ২১-আগস্ট ২০২২, সিজারিয়ান মায়েদের জন্য ওটি শেকসন চালু করা হয়েছেছিলো।উক্ত অপারেশনের সার্জন দলে ছিলেন, ডা. শায়লা নাজনীন, ডা. তাসীন ইশরাক ও ডা. রাবেয়া খান এবং এনেস্থিসিয়া দলে ছিলেন, ডা. সালাউদ্দিন ও আর,এম,ও ডা. রোমান বাদশা। খুব আশা নিয়ে জাজিরা উপজেলার হতদরিদ্র মানুষ ভেবে ছিলো, আর যেতে হবে না শরীয়তপুর বা ঢাকায়।সিজারিয়ান চিকিৎসা খরচ মেটাতে বিক্রি করতে হবে না কোন সম্বল। প্রতি মাসে গড়ে ১৫০- ২০০ সিজারিয়ান সেবা গ্রহিতা আসেন জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যাদের মধ্যে ১০টা সাভাবিক ডেলিভারি হয়। আর সিজার হয় পাশের পদ্মা ক্লিনিকে,তাও মাসে প্রায় ৪০ জনের কম নয়। আর বাকিরা গিয়ে ভর্তি হন প্রাইভেট ক্লিনক শরীয়তপুরে নয়তো ঢাকায়। যেখানে যাতায়তের পথে আছে ভোগান্তি ও দূর্ভোগ। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেবাগ্রহিতাদের দাবি, যেহেতু সে মা তাই তিনি বুঝবেন এর ব্যাথা,সঠিক ব্যাবস্থ্যা কেবল তিনিই করতে পারেন। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস্যার ডাঃ মাহামুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,আমি দূবার তাদেরকে নোটিশ করেছি,লোকবল নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছি,খুব শিঘ্রই এর সমাধান হয়ে যাবে। তবে এ্যানেস্থেসিয়া ডাঃ কেবল সিজার বা অপারেশনের কাজে লাগে, তিনি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখেন।