আগামী বর্ষায় বন্যা মোকাবেলায় জাজিরা উপজেলার নদিতে ড্রেজিং আবশ্যক

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ  জাজিরা উপজেলায়  আর্কিটেক্ট সানজিদ বলেন  “বাংলাদেশে বন্যার প্রকৃতি ও ক্ষয়ক্ষতি মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, উজান থেকে কী পরিমাণে পানি আসছে, দ্বিতীয়ত, কত গতিতে আসছে আর কত দিন ধরে সেই পানি বাংলাদেশে থাকছে। গঙ্গা নদিটি বিভীন্ন পথ হয়ে শরীয়তপুরের অববাহিকায় পদ্মা নাম ধারন করে প্রবাহিত হচ্ছে নদীটি।স্বভাব সুলভ ভাবে পদ্মা খুবি স্রোতাস্মিনি ও পলি ধারক। নদী হতে যে সকল উপনদি জাজিরা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তা প্রায় সবকটিই পলি জমে ভরে গেছে,শুধূমাত্র কির্তীনাশায় ড্রেজিং এর কারনে একটু পানি আছে।বর্ষা আসলে তাই স্রোতের পানি সঠিক ভাবে প্রবাহিত হতে না পারায় নদিভাংগন সহ বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় জাজিরা উপজেলাটি। ”

পৌরসভার  উপনদি কীর্তিনাশার লখাই কাজি গ্রামের পয়েন্ট হতে বড়কান্দি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে পালেরচড় হয়ে পদ্মায় মিশেছে,যা কটাখালি নদি হিসাবে পরিচিত এলাকার মানুষের কাছে,কিন্তু  শাখা নদীটি এখন শুকিয়ে প্রায় সমতল ভুমি হতে চলেছে।এছারাও কাজিরহাট হয়ে লাউখোলা বাজারের পাশ ঘেসে, জয়নগড়, শৈলপাড়া হয়ে শরীয়তপুর সদরের পাশ দিয়ে নড়িয়ার মধ্য দিয়ে পদ্মায় মিশেছে। যার প্রায় আধা মাইল পরপর নদী শুকিয়ে সমতল হয়ে গেছে।আবার অনেক স্থানে মাটি ভরাট হয়ে বসতবাড়ির অংশো তৈরী হয়েছে।আবার কাজিরহাট কির্তিনাশা নদিটিই বড়কান্দি ইউনিয়নের চৌকিদার কান্দির সামনে দিয়ে পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের উপর দিয়ে মাঝিকান্দি এলাকার পদ্মা নদীতে মিশেছে।যা এখন বোঝাই যায় না পলি পড়ার কারনে। শুধুমাত্র  কীর্তিনাশা নদীটি খাজুরতলা হতে জাজিরা পয়েন্ট পর্যন্ত এক  বার ড্রেজিং করা হয়েছিলো,সেই সাথে নড়িয়া পয়েন্ট হতে শরীয়তপুর ব্রিজ পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের কারনে কয়েকবার ড্রেজিং করা হয়।ফলে বর্ষা আসলেই পদ্মা নদীর স্রোত ও  ভাংগনের কবলে পড়ে জাজিরা উপজেলাটি।

বর্ষা মৌসুম এলেই নদীর তলদেশ গভীর এবং পাড় ভাঙা বাড়ছে। শুকনো মৌসুমে নদীগুলোর পানি পরিবহনক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে পলিগুলো তলদেশে জমা হয়ে ভরাট করে ফেলছে। পানি ভূখণ্ড ধুয়ে আসা পলি নিয়ে দ্রুত নদীতে পড়ছে। এতে পলি নদীতে পড়ে তলদেশ উঁচু করে ফেলছে। ফলে নদীর বিভিন্ন স্থানে চর পড়ে চ্যানেল তৈরি হচ্ছে। নদীর স্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা পাচ্ছে। ফলে দ্রুত পানি বেড়ে বসতি এলাকায় প্রবেশ করছে, ভাঙন বাড়ছে।তাই পদ্মার উপকুলে জাজিরা প্রান্তে স্থায়ি বাধের সাথে সাথে,  এই সব নদী ও উপনদীর নাব্যতা বাড়িয়ে বন্যা মোকাবেলার নদির ড্রেজিং এর উদ্যোগ নেওয়া এখন হতেই জরুরি।অন্যাথায় জাজিরা উপজেলাটি আবার নদী ভাংগনের মুখে পড়বে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউ, এন,ও) কামরুল হাসান সোহেলকে অবগত করলে তিনি বিসয়টি উপরে সংস্লিস্ট অফিসে  তুলে ধরবেন বলে জানান এবং সাধ্যমতো জাজিরা রক্ষার প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেন।