শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট-বাজারে ভেটেরিনারী মেডিক্যাল টিম প্রাণিস্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে পুরো জেলায় ২৩ টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত টিমে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারী, ভেটেরিনারী মাঠ সহকারী, কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান, ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটররা কাজ করছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানায়, ক্ষতিকর রাসায়নিক অথবা ষ্টেরয়েড (হরমোন) ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ গরু চিহ্নিতকরণ এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, হাটে হঠাৎ গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা সেবা প্রদান, অনলাইনে বিক্রির জন্য গবাদিপশুর ছবি আপলোড করা ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শসহ করোনায় সচেতনতার বার্তাও প্রদান করছে এসব মেডিক্যাল টিম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির বাজার সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য আমাদের এ সেবা। অসুস্থ, রোগাক্রান্ত কিংবা ক্ষতিকর রাসায়নিক হরমোন ব্যবহার করে মোটাতাজাকৃত গরু পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। এখন পর্যন্ত হাটগুলোতে কোন অসুস্থ ও ক্ষতিকর পর্যবেক্ষণেরকরা গরু ছাগল পাওয়া যায়নি।
এদিকে হাট-বাজারগুলোতে মেডিকেল টিম পরিচালনা করায় ক্রেতা-বিক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার নৌহাটা পৌর গরুর হাটে শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের ফজল মিয়া এসেছেন কোরবানির গরু কিনতে। তিনি জানান, দুইটি ষাঁড় পছন্দ হয়েছে তার। তবে রাসায়নিক হরমোন ব্যবহার করে মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: পলাশ কান্তিকে জানায়। তারপর ষাঁড় দুটি সুস্থ এবং প্রাকৃতিক খাবারেই বেড়ে উঠেছে বলে ডা: পলাশ কান্তি তাকে নিশ্চিত। এতে তিনি টিমের প্রতি সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানায়, এ বছর জেলায় কোরবানি গরুর উৎপাদন ৮৩হাজার ৪শ ১৭টি, বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৫৫হাজার ৪শ ৬৫টি। এছাড়া জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ২৭টি কোরবানীর হাট ও ৬টি অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে।