ধামাকা শপিংয়ের প্রতারণা নিয়ে মানববন্ধন

আলোকিত স্বদেশ রিপোর্ট:

ডিজিটালাইজেশনের যুগে ইকমার্স ধামাকা শপিংয়ের প্রতারণার আজ ১ বছর ৩ মাস হতে চলেছে। বাংলাদেশের ই-কমার্স ইতিহাসের সর্বপ্রথম প্রতারণা ও স্ক্যামার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ধামাকা শপিং। যার ব্যবসায়িক স্তম্ভই ছিলো গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করা।

এ্ নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে ধামাকা কাস্টমার কমিউনিটি।

মানববন্ধনে সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ধামাকা শপিংয়ের এমডি এস এমডি জসিমউদদীন চিশতি সাধারণ ৩ লাখ গ্রাহকের ৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। গত ১ বছরে সে বিভিন্ন ভাবে টাকা ফেরত দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করে আসছে।

সিআইডি কর্তৃক ১১৬ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলা খাওয়া জসিমউদদীন চিশতি ও তার ২ ছেলে তাসফির রেদওয়ান চিশতি ও মাসফিক রেদওয়ান চিশতি এখন টাকা ফেরত দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। জসিমউদদীন চিশতি একাধিক বার ফেসবুক লাইভে বলেছে তিনি যদি নাও থাকেন তাহলে তার ২ ছেলে গ্রাহকের সকল পাওনা পরিশোধ করবেন।

তিনি বলেন, জসিমউদদীন চিশতি ধামাকা শপিং হতে গ্রাহকের উত্তোলন কৃত ২০০ কোটি টাকা যা তার ধামাকা শপিংয়ের “সিগনেচার কার্ড” নামক ক্যাম্পেইন দ্বারা সংগ্রহ করেছিলেন তা নিয়ে মার্চের শেষের দিকে দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে পলায়ন করেন। ভুক্তভোগী গ্রাহক কর্তৃক ইতিমধ্যে ধামাকা শপিংয়ের এমডি জসিমউদদীন চিশতি, তার ২ ছেলে তাসফির চিশতি ও মাসফিক চিশতি, সাইদা রোকসানা খানম, সাফওয়ান আহম্মেদ, জসিমউদদীন চিশতির ভাই আসিফ চিশতি, আমিনুর হোসেন এর নামে প্রায় ৩ শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে যা কোন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় নাই।

সরকার ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ডিজিটাল ই-কমার্সের নতুন SOP বিষয়ক নীতিমালা আসে ১৫ই জুন ২০২১। সরকার ও বানিজ্য মন্ত্রনালয় যখন সকল ইকমার্স গুলোকে নতুন  SOP এর আওতায় আনে এবং ESCROW সিস্টেম চালু করেন, তখন সকল ই-কমার্স গুলো নতুন নীতিমালায় পরে তারল্য সংকটের মুখোমুখি হয় এবং ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে বিপর্যয় নেমে আসে।