ধামরাই (ঢাকা) থেকে:
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অসময়ে টানা বর্ষণে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরিষা, মসুর, গোলআলু, পেঁয়াজ, মরিচসহ সব ধরনের সবজি চাষীদের এক প্রকার মাথায় হাত। এখনো যেসব চাষী ধান ঘরে তুলতে পারেননি তাদের ছাড়াও যারা ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলেন তারাও পড়েছেন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার থেকে স্বল্পমাত্রায় বর্ষণ হলে ও রবিবার মধ্যরাত থেকে রাজধানীসহ সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বর্ষণে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।রবিবার থেকে সোমবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টির পর সোমবার সারারাত মাঝারি মানের বৃষ্টি হয়।
এতে ধামরাই উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আমতা, কুশুরা, গাংগুটিয়া, সূতিপাড়া, ভাড়ারিয়া, ধামরাই, বালিয়া, নান্নার, কুল্লা, যাদবপুর, সূয়াপুর, সানোড়া, চৌহাট, বাইশাকান্দা, সোমভাগ এবং রোয়াইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরিষা, মসুর, গোলআলু, পেঁয়াজ, মরিচসহ সব ধরনের সবজি চাষ ও ধানের বীজতলা তৈরি করিয়াছিল , তা টানা বৃস্টির ফলে প্রায় সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । যে সব জমিতে সরিষা বপণ করা হয়েছে তার অধিংকাশই নষ্ট হয়েছে।
ধামরাই উপজেলার সানোড়া ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টানা বৃষ্টিতে ধানের বীজতলা, মসুর, খেসারী , সরিষা, বিভিন্ন ধরনের সবজি , গোলআলু , পেঁয়াজ , মরিচ প্রায় সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন জানান, তিনি তার নিজ জমিতে আড়াই (২.৫) বিঘা সরিষা চাষ করেছিলেন। সরিষায় ফুলও এসেছিলো। বৃষ্টিতে সব নষ্ঠ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান বলেন, টানা বৃষ্টিতে ধানের বীজতলা, মসুর, খেসারী , সরিষা, বিভিন্ন ধরনের সবজি , গোলআলু , পেঁয়াজ , মরিচ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।ধামারাই উপজেলায় প্রায় ৫২৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শরিষার চাঁষ হয়েছে।আমরা এবার ৯ হাজার মেট্রিকটন শরিষার উৎপাদন আশা করছি। তাই কৃষকদের বিভিন্ন জাতের শরিষা বীজ ও সার দিয়ে সহযোগীতা দিয়েছি। কিন্তু দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকদের কিছু ক্ষতি সাধিত হবে।