ধামরাই (ঢাকা) থেকে :
ঢাকার ধামরাইয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সূয়াপুর ইউনিয়নের নৌকার কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুই গ্রুপের প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০অক্টোবর) বেলা ১২ টায় ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের সূয়াপুর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সূয়াপুর এলাকার নৌকার প্রার্থীর কর্মী সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হালিম, মোঃ বাবু, মোঃ মমিন, দেলোয়ার, রিদয়, নাহিদ, রবিন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব, সাগর, পলাশ, রাসেল, সাকিমুদ্দিনসহ আর অনেকেই।
এই বিষয়ে নৌকার মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. কপিল উদ্দিন বলেন, আজ বেলা ১০ টায় সূয়াপুর বাজারে আমার নেতা-কর্মীরা ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গেল স্বতন্ত্র প্রার্থীর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব হোসেনের কর্মীরা আমার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ছয় জনকে মাথা ফাটিয়ে ফেলে। এছাড়া আমার নির্বাচনী ক্যাম ভাঙচুর করে চলে যায়।
এই বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকার বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান সোহরাবের কর্মী আব্দুল বাছেদ বলেন, সূয়াপুর বাজারে ভোট ও পোষ্টার লাগাতে গেলে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা পোষ্টার লাগাতে বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এতে আমাদের চেযারম্যানসহ পাঁচ জনকে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়।
অপরদিকে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আলতাব হোসেনর নির্বাচনী ক্যাম ভাঙচুর করেছে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী ক্যাম ভাঙচুর করেছে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা। তাদের ভয়ে আমার কর্মীরা দৌড়িয়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
এছাড়া উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোসলেম উদ্দিন মাসুম বলেন, আমার কর্মীরা আজ ভোট চাইতে গেলে নৌকার কর্মীরা আমার কর্মীদের ভোট চাইতে বাধা দেয় এবং হাত-পা ভেঙে প্রাণ নামের হুমকি দেয়। আমি নির্বাচন আফিসে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, ইউএনও আমাকে বলার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।