খন্দকার আব্দুল্লাহ ফরিদপুর থেকেঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভিক্ষুককে মৃত্যু দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতা বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরকান্দা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড জগদিয়া বালিয়া গ্রামের মৃত্যু সোনা মিয়ার স্ত্রী নুরজাহান বেগম দীর্ঘদিন যাবত বয়স্ক ভাতা ভোগ করে আসছিল। হঠাৎ রহস্যজনক ভাবে তার বয়স্ক ভাতাটি বন্ধ হয়ে যায়। নুরজাহান বেগম এখনো জীবিত আছেন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ২৯২৬২০৯৮০৬৪২৩ অনুসারে তার বয়স ৮৪ বছর।
অভিযোগ পাওয়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৮৪ বছর বয়সী বৃদ্ধার কোন জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে কুঁড়ে ঘর তুলে বসবাস করছে। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই। এক মাত্র মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সংসার করছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করে কোন রকম চলে বৃদ্ধার সংসার। বয়সের ভারে শরীরে এখন বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে। এরই মধ্যে তার সু খবর আসে বয়স্ক ভাতার। নিয়মিত পাচ্ছিলেন ভাতার টাকা।
নুরজাহান বেগম জানান, প্রতি মাসে ভাতার টাকা পেয়ে আমি ওষুধ কিনে খেতাম। ভাতা বন্ধ হওয়ায় কোন ওষুধই কিনতে পারছিনা। বারবার অফিসে গিয়ে কোন ফল পাইনি। অফিসের স্যার বলেছেন, তাদের কাছে কে বলেছে আমি নাকি মারা গেছি তাইতো আমার নাম কেটে দিয়েছে।
পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিকু মিয়া বলেন, নুরজাহান ছাড়াও আমার ওয়ার্ডের মজিবুর রহমান ও নীল কর্মকারের একই অবস্থা। তাদেরও মৃত্যু দেখিয়ে বয়স্ক ভাতার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কার কথায় উপজলা সমাজ সেবা অফিস এই সব করেন তা আমার জানা নাই।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, নুরজাহানের নাম বয়স্ক ভাতার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে। কি কারনে কর্তন করা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছি।