কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতা নিহতের প্রতিবাদে গুলি না চালানো এবং আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছিলেন দুই আইনজীবী। ২৯ ও ৩০ জুলাই শুনানির পর ৩১ জুলাই রিটটি কার্যতালিকায় ওঠেছিল। কিন্তু এক বিচারপতি অসুস্থ থাকায় ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট ওই বেঞ্চ আর বসেনি।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, এই রিটের আদেশ আগামীকাল রোববারের কার্যতালিকায় রয়েছে। মানজুর–আল–মতিন এবং অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য শিরোনামে রিটটির আদেশ কার্যতালিকায় ১০ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের আদেশ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আয়নুন্নাহার সিদ্দিকা ও মঞ্জুর-আল মতিন হাইকোর্টে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
এরইমধ্যে ১ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেয়া হয়।
গত ২৬ জুলাই নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রেডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরেরদিন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
পরে ছাড়া পাওয়ার পর যৌথ বিবৃতিতে ছয় সমন্বয়ক জানান, আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তারা দিয়েছিলেন, তা স্বেচ্ছায় দেননি। একইসঙ্গে ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে জানান তারা।