কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।
বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন। তাদের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পেয়েছে মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান- দায়িত্বে অবহেলা, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশের বাইরে গিয়ে কাজ করায় তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তাদের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে সেদিনের সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আবু সাঈদ। এক পর্যায়ে বুক পেতে দেন তিনি। এ সময় আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, পরে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর রংপুর জেলাজুড়ে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।