ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৬৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। দুদফায় মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্প শেষ না হওয়ায় আরও দুবছরের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। শুরুতে নেওয়া ৮৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পালন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তবে প্রকল্পটি নিয়ে বারবার অনিয়মের অভিযোগে ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পকে বিতর্কিত করে তোলে অনিয়মকারীরা। এবার মডেল মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ নেওয়ায় প্রমাণসহ স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী রেজওয়ান আহমেদ খুশবু।
জানা যায়, দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান নীলফামারীতে যোগদান করেন। যোগদানের পরেই তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী অন্যান্য দাপ্তরিক দায়িত্বের সঙ্গে নীলফামারী সদর উপজেলা ও জলঢাকা উপজেলায় নির্মিতব্য ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্ব দেন।
২০২৩ সালের মার্চের মধ্যেই নীলফামারী সদর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ শেষ হয়। সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজের চুক্তিমূল্য ১৩ কোটি ৫ লাখ টাকা হলেও তা ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। আর বর্তমানে জলঢাকা উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এ দুই মসজিদ নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪৫ লাখ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে।