ধামরাইয়ে ফসলের মাঠে পাখিদের কলতান।

ধামরাই প্রতিনিধি :

প্রতি বছরের মতো এবারও শীত মৌসুমে ফসলের মাঠে পাখিদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের বহুতকুল, রোয়াইল ও সেনাইল গ্রামের কৃষকের ফসলের মাঠ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ কৃষকের ফসলের মাঠে একদিকে কৃষক হালচাষে ব্যাস্ত অন্যদিকে ফসলের জন্য ক্ষতিকারক পোকা সহ বিভিন্ন খাবারের সন্ধানে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে রং-বেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। পাখিদের কোলাহল, কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণে সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে পুরো এলাকাতেই যা দৃষ্টি কাড়ছে মানুষের।

উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের বহুতকুল,রোয়াইল ও সেনাইল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আবাদি জমির মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে হাজার হাজার পাখিদের আগমন আর পাখিদের কলতানে মুখরিত ঐ এলাকার ফসলের মাঠ। সকাল থেকেই কৃষকদের সাথে পাখিরাও কাজে মনোনিবেশ করে , একদিকে কৃষক হালচাষে ব্যাস্ত অন্যদিকে পাখিরা ব্যাস্ত খাবার সংগ্রহে , এ যেন পাখি আর মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় খাবারের প্রয়োজন মেটানো। সেই সাথে আছে পাখিদের কিচিরমিচির গান। দুপুরের ঝলসানো রোদে কৃষকের সাথে পাল্লা দিয়ে ধবল সাদা বকেরা ফসলের মাঠে কাজ করছে হালের পেছন পেছন ঘুরে কুড়িয়ে নিচ্ছে ফসল নষ্টকারী পোকা। আর কেউ যদি এদের কাছে যেতে চায় তাহলে শুরু এদিক ওদিক ওড়াওড়ি। এভাবে কিছুক্ষণ ছুটাছুটির পর আবারো হৈ হুল্লুর আর চেচামেচি করে আবারো জায়গা করে নেয় সেই হালের পেছনেই ।
সরিষার ক্ষেতে ওড়ছে বাবুই পাখির ঝাঁক সময় চলে গেলেও রাস্তার চলন্ত মানুষ গাড়ি থামিয়ে পাখিদের ওড়া ওড়িয় এমন দৃশ্য দেখে যাচ্ছে। পাখি গুলো দল বেধে বেড়ায় এমন দৃশ্য কি দারুণ লাগে, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়, এক ক্ষেত থেকে অন্য ক্ষেতে।

পাখি দেখতে ও ছবি তুলতে আসা সজল ব্যাপারী ও সামিউল ইসলাম নীরব জানান, তারা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে এসেছেন। শীতের এই মৌসুমে প্রতি বছরই পাখি দেখতে এখানে আসেন। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে ভালো লাগে।
ধামরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি রোয়াইল গ্রামের বাসিন্দা নিশাতুর রহমান হান্নান বলেন, প্রশাসন ও পরিবেশ কর্মীদের সচেতনতায় পাখি শিকার অনেকটাই বন্ধ হওয়ায় আগের চেয়ে পাখির সংখ্যা বাড়ছে। তবে কিছু অসাধু শিকারি এখনও পাখি শিকার করতে আসে । এসব বন্ধের দাবি জানান তিনি।

ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন বলেন, অসাধু ব্যাবসায়িরা এই পাখি গুলা নিধন করার জন্য চেষ্টা করে। এব্যাপারে আমরা পুরোপুরি তৎপর রয়েছি। আমি অথবা আমার স্টাফ পাখি নিধন ও শিকারের যদি কোন খবর পাই গাথে সাথে পাখিগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করি এবং অবমুক্ত করি। পাখি নিধন খুবই খারাপ একাটা বিষয় পাখি মিধন বন্ধ হোক।জনগণ সচেতন না হলে কোনোভাবেই অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করা সম্ভব নয়।