গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিশু জোনয়েদ মোল্লা (১০) কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে উঠে পড়ে।
বিমানটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেওয়ার আগ মুহুর্তে জানা যায়, সে ওই ফ্লাইটের যাত্রী নয়। সোমবার রাত ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়েতগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (কেইউ২৮৪) পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই বিমানে উঠে পড়ে সে। পরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, পরবর্তীতে শিশুটিকে বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়। কুয়েত এয়ার ওয়েজের ফ্লাইটে উঠে পড়া শিশু জোনয়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে।
এই ঘটনায় মুকসুদপুর উপজেলাব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির বাড়িতে ব্যাপক লোকজনের সমাগম হচ্ছে।
বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া জানান,শিশুটি থানা হেফাজতে ছিল। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়। তার অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে।পরবর্তীতে (১২সেপ্টেম্বর) রাত তিনটার সময় শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লার নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়।
শিশুটির চাচা জানান, তার ভাতিজা জোনায়েদ মোল্লা খুবই দুরন্ত। তাকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখান থেকে সে বারবার পালিয়ে আসে। তাই তাকে মাদ্রাসা থেকে এনে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। তবুও সে বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যে হারিয়ে যায়,আবার একাই ফিরে আসে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহ আগে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে আমরা তার খোঁজ পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি সে সেখান থেকেও পালিয়ে গেছে। বিমানে উঠে পড়ার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের ফোন করা হলে তাকে থানা থেকে নিয়ে আসি।বর্তমানে সে আমাদের বাড়িতেই আছে।
শিশু জোনয়েদ মোল্লা জানায়, সে বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠে পড়ে। সে কোন কিছু না ভেবে শখের বসে বিমানে উঠে। সে জানেই না যে বিমানে উঠতে বডিংপাস, পাসপোর্ট এবংভিসা লাগে।সে ভুল করে বিমানে উঠে পড়েছে বলে জানায়।