নাসার প্রকাশ করা ছবিতে ‘হীরার মতো উজ্জল’ বুধ

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রথমবারের মতো সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধের স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনেটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)।

বুধের কক্ষপথে অবস্থানরত নাসার টেলিস্কোপবাহী নভোযান মেসেঞ্জারের তোলা ‘হীরার মতো উজ্জল’ বুধের ছবি দেখে রীতিমতো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেছেন মহাকাশ সম্পর্কে আগ্রহী নেটিজেনরা।

নাসার নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বুধের ছবিটি পোস্ট করার পর তাতে ‘লাইক’ দিয়েছেন ১১ লাখ ২২ হাজার ৮১৫ জনেরও বেশি নেটিজেন। সেইসঙ্গে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য পড়েছে হাজার হাজর।

আমাদের সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ। সূর্য থেকে এই গ্রহটির দূরত্ব ৫ কোটি ৮ লাখ কিলোমিটার। সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ হওয়ার কারণে এই গ্রহের তাপমাত্রাও প্রচুর। তবে সেই তাপমাত্রা আবার ব্যাপকভাবে ওঠানামাও করে। দিনে বুধের গড় তাপমাত্রা থাকে ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের বেলায় তা নেমে যায় মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধ সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্র গ্রহ। আকার-আয়তনে এটি পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের চেয়ে খানিকটা বড়।

একই সঙ্গে সৌরজগতের দ্রুততম গ্রহও বুধ। নিজ কক্ষপথে এক একবার ঘূর্ণনের সময়ে ২৯ মাইল পরিভ্রমণ করে এই গ্রহ, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে মাত্র ৮৮ দিনে। অর্থাৎ ৮৮ দিনে এক বছর হয় বুধে।

বুধের নিজস্ব কোনো বায়ুমণ্ডল (অ্যাটমোস্ফিয়ার) নেই, তবে গ্রহটির পৃষ্ঠে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তুলনায় খুবই পাতলা একটি বায়বীয় স্তর (এক্সোস্ফিয়ার) রয়েছে। বায়বীয় সেই স্তরটিতে রয়েছে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের গ্যাসীয় রূপ। পৃথিবীর মতো বুধের নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্রেও রয়েছে, তবে সেটির শক্তি পৃথিবীর তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ।

ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করার বুধের ছবির কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করেন হাজার হাজার নেটিজেন।