স্ত্রীর লাশ রেখে পলাতক স্বামী!

ফাইল ফুটেজ

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ স্ত্রীর মরদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী। শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দক্ষিণ দীঘিরপাড় এলাকা থেকে রুমা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রুমা পাতরাইল দীঘিরপাড় গ্রামের টোকন মাতুব্বরের স্ত্রী এবং মাদারীপুরের রাজৈর উত্তর চাঁনপুট্টি গ্রামের মৃত আ. কুদ্দুস মাতুব্বরের মেয়ে।

পুলিশ ও রুমার পরিবারের সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে স্বামী টোকন মাতুব্বরের ভাগনে হৃদয় মোবাইলে জানান রুমা ‘আত্মহত্যা’ করেছে। এরপর টোকনকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার বাড্ডায় আব্দুল্লাহবাদে রুমার ভাড়া বাসায় খোঁজাখুঁজি করেন তারা। সেখানেও খোঁজ পাননি। দুপুরে অপরিচিত একটি ফোন থেকে রুমার মামা বাবুলকে জানানো হয় রুমার লাশ ভাঙ্গায় রাস্তার উপর রাখা হয়েছে। সেখান থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

এরপর ঢাকা থেকে তারা ভাঙ্গায় রুমার শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে দেখতে পান একটি ব্রিজের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রুমার মরদেহ। মরদেহের পাশে কোনো লোকজন ছিল না। পরে তারা রুমার শ্বশুরবাড়িতে যান। তবে বাড়িতে কাউকে খুঁজে পাননি। এরপর ঘটনাটি পুলিশকে জানান। সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সোবাহান তালুকদার জানান, দুপুরের দিকে সাইরেন বাঁজিয়ে দক্ষিণ দীঘিরপাড় এলাকায় সড়কের উপর একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। এ সময় কয়েকজন লোক তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স থেকে একটি লাশ রাস্তার উপরে নামিয়ে পালিয়ে যায়।

রুমার মা ও ছোট বোন জানান, স্বামী ও তিন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ঢাকার বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন রুমা। এক বছর আগে টোকন কাউকে না জানিয়ে সেখানে আরেকটি বিয়ে করেন। কিছুদিন পর তাকে ডিভোর্স দেন। সম্প্রতি সেই মেয়ের সঙ্গে টোকনের যোগাযোগ হয়। এ নিয়ে রুমার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সন্ধ্যার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রোববার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানেও এ ঘটনার তদন্ত চলছে।