লাইফস্টাইল ডেস্কঃ বর্ষা যেহেতু পুরোদমে চলছে, তাই অনেক ক্ষতিকারক সংক্রমণ এবং ভাইরাসের সময় এটি। যে কারণে এসময় আদা খাওয়া বেশি জরুরি। আদা দিয়ে তৈরি পানীয় পান করলে অনেকগুলো সুবিধা পেতে পারেন। এটি কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই শক্তিশালী করে না, সেইসঙ্গে ওজন এবং রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। আদার পানীয়তে চিনি না মিশিয়ে মধু যোগ করতে পারেন। জেনে নিন আদা দিয়ে তৈরি পানীয় পানের উপকারিতাগুলো-
(১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাধারণ লক্ষণ। আদার তৈরি পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুর্দান্ত, কারণ এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ ধরনের পানীয় নিয়মিত পান করলে তা ক্ষতিকারক সংক্রমণকে দূরে রাখে।
(২) হজম ক্ষমতার উন্নতি করে- অস্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে একটি হলো আদা খাওয়া। আদায় থাকে জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান, যা হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে সহায়তা করে। যারা প্রায়ই বদহজম, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাদের জন্য এটি দুর্দান্ত।
(৩) দ্রুত ওজন কমায়- আদা পানীয় আপনাকে একগুঁয়ে পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। ওজন কমানোর জন্য এটি একমাত্র সমাধান নাও হতে পারে, তবে প্রক্রিয়াটিকে দ্রুততর করতে সাহায্য করে। যেহেতু আদা হজমে সাহায্য করে, তাই এটি হজমকারী এনজাইমের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, ফলে এটি পেটের মেদ কমিয়ে দেয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি বিপাক বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে, যার ফলে ক্যালোরি বার্ন হয়।
(৪) বমি বমি ভাব দূর করে- আপনি যদি প্রায়ই বমি বমি ভাব অনুভব করেন তবে আদা আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার। এটি পেটের পেশী প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমায়। আদা চা হতে পারে বমি বমি ভাব এবং বমির মতো উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়ার নিখুঁত উপায়। আপনি যদি ভ্রমণ করেন বা চা বানানোর সুযোগ না থাকে তবে আদার একটি ছোট টুকরা চিবিয়ে খেতে পারেন।
(৫) শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো করে- ক্রমাগত কাশি বা সর্দি যথেষ্ট অস্বস্তিকর অনুভূতিগুর মধ্যে একটি। এই সমস্যা দূর করতে আদার তৈরি পানীয়ের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকারের ওপর নির্ভর করুন। এটি শ্বাসতন্ত্রকে শিথিল করতে এবং ফুসফুসের অতিরিক্ত শ্লেষ্মা অপসারণ করতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন।