‘আমরা নৈরাজ্য চাই না, চাই না কোনো বিশৃঙ্খলা’ বলেছেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু । তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের নামে অরাজকরা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে আমরাও ঘরে বসে থাকতে প্রস্তুত নই। জনগনের সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অবমূল্যায়ন ঘটলে আমরা তা প্রতিহত করব এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপির মূল লক্ষ্য নির্বাচন নয়, আন্দোলনের নামে দেশে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে আবারও পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিএনপি মহাসচিবের মুখে পাকিস্তান প্রীতি তারই বহিঃপ্রকাশ।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট নয় দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, তারা কখনো জাতীয় সরকার, কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার কখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলছে। আসলে তারা কী চাচ্ছে নিজেরাই জানেন না। হয়ত কয়দিন পর বলে বসবে তাদের সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। জনগণের কাছ থেকে বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে কৌশলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।