পাবনায় কামরুল ইসলাম খোকন নামে এক ফেব্রিক্স ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে সাভারে নিয়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরের হাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার কামরুল ইসলাম খোকন (৪৮) আতাইকুলা থানার মধুপুর এলাকার মৃত শাহজাহান প্রামানিকের ছেলে ফেব্রিক্স ব্যবসায়ী। তিনি পাবনা থেকে গেঞ্জি ক্রয় করে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশীয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে ফেবিক্সের মালামাল পাঠিয়ে থাকেন।
ভূক্তোভোগীর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামী ব্যাংক আতাইকুলা শাখা হতে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেলযোগে পাবনা শহরের আরিফপুর হাজিরহাটের গেঞ্জি ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে আসে। পরে কারখানার মালিক সুমনকে না পেয়ে ফোন করলে তিনি জানান আমার শহর থেকে আসতে আধাঘণ্টা সময় লাগবে আপনি বসেন। এর কিছুক্ষণ পর সে টার্মিনাল যাওযার পথে মাইক্রোবাস যোগে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেদিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবার মোবাইল বন্ধ দেখতে পেয়ে সদর থানায় যোগাোযোগ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধারের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকার সাভার এলাকায় মহাসড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ল্যাব জোন হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সন্ধার দিকে পাবনা পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত কামরুল ইসলাম খোকন বলেন, বিভিন্ন দেশে ফেব্রিক্সের মালামাল সরবরাহ করায় শহরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চলাফেরা ও ব্যবসায়ীক কাজ করতে হয়। এরই ধারাবাহিতায় সেদিন ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা তুলে নিয়ে মালামাল কিনতে আসছিলাম। হাজিরহাটের ফেব্রিক্স ব্যবসায়ী সুমনের দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রেখে টার্মিনালের দিকে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখমুখ বেঁধে আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে ঢাকার সাভারে ফেলে যাওয়া হয়।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে গতকাল পরিবার থানায় জিডি করার সঙ্গে আমরা সারারাত ধরে কাজ করি। হাজিরহাট থেকে তাকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা সাভারে ফেলে রাখে। সেখান থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। বর্তমানে তাকে পাবনা নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। শিগগিরই আসামিদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।