ধামরাই (ঢাকা) :
ঢাকার ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া – কাওয়ালীপাড়া ৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কে ১৫টি স্পিড ব্রেকারে (গতিরোধক) দীর্ঘদিন কোনো রং বা সাংকেতিক চিহ্ন না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কাওয়ালীপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে রয়েছে ১৫ টির অধিক স্পীড ব্রেকার (গতিরোধক) ।
সাধারণত সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে সড়কে স্পীড ব্রেকার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিত ভাবে স্পীড ব্রেকার তৈরি করায় ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সড়কে ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য স্পীড ব্রেকার। যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। সাধারণ যানবাহন চলাচলকারীরা এতে নিত্য দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্পীড ব্রেকারগুলোর আগে পরে নেই কোন প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোন সতর্কবানী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পীড ব্রেকারগুলো। কিছু কিছু স্পীড ব্রেকার এতো উঁচু যে, এগুলোর উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বেশ জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়, যানবাহনের নীচে স্পীড ব্রেকার লেগে যায়।
এ নিয়ে প্রায়ই ড্রাইভারদের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হচ্ছে। এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝাঁকুনিতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ডেলিভারী রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জীবনের ঝুঁকিতে পরেছে। অতি উঁচুতে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ এবং স্পীড ব্রেকারে রং বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার না করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
বাবুল হোসেন নামের এক মোটরসাইকেল চালক জানান, উঁচু স্পীড ব্রেকারগুলোতে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠার চেষ্টা করলে গাড়ি স্পীড ব্রেকারের ওপর উঠতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে জোরে চালিয়ে উঠতে হয়ে। মাঝেমধ্যে ওই স্পীড ব্রেকার গুলোতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
সিএনজি চালক জাহিদ ও জসিম,ফরহাদ বলেন, ‘স্কুল, মাদরাসা, মসজিদের সামনে গতিরোধক দরকার। তাছাড়া সব গতিরোধক সাদা রং দিয়ে চিহ্নিত করে দিলে ভালো হতো। কিছু কিছু গতিরোধক চলন্ত অবস্থায় বোঝা যায় না। এতে আমাদের সমস্যা হয়।
ধামরাই উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, সড়কে স্পীড ব্রেকার দেয়ার নিয়ম না থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ স্পীড ব্রেকার বসায়। জনস্বার্থে যেখানে স্পীড ব্রেকার প্রয়োজন শুধু সেখানেই স্পীড ব্রেকার থাকবে। বাকি সব স্পিড ব্রেকার যথাসম্ভব অপসারণ করার ব্যবস্থাগ্রহণ করবো এবং জরুরী স্পীড ব্রেকারগুলো মার্কিং বা রং করার বিষয়টিও দ্রত গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।