আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সাথে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি বিষয়টা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে জানা যায়,দেশের প্রতিটি জেলার হাসপাতালের উন্নয়ন চলমান আছে৷ হাসপাতালে তেমন রোগী না থাকলেও , রোগী এলে চিকিৎসা দেওয়ার পূর্ণ ব্যবস্থা আছে ৷
এপিএ চুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ভাষ্যমতে , এখন ভ্যাকসিন দেওয়া এবং করোনা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনবল নিয়োগও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাঠে নামতে হবে।এছাড়া,নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে কাজ সম্পন্ন হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিকে,দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আবারও ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (২৮ জুন) সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এ সংক্রান্ত ৬ দফা আদেশ বাস্তবায়নে চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কোভিড প্রতিরোধে নিচের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো:
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।
২. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে।
৩. ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানসমূহে (যেমন: মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড টেস্ট করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৫. দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
৬. মাস্ক না পরলে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন করা এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরিধানের বিষয়ে মসজিদে জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে কাজ করবেন।