আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৩তম সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএসসিসি) এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর তিন (২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর) রুটে ঢাকা নগর পরিবহণের ২০০ নতুন বাস চালু করা হবে।
২২ নম্বর রুট হলো: ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর টাউন হল-আসাদগেট-ফার্মগেট কাওরানবাজার-শাহবাগ-কাকরাইল ফকিরাপুল-মতিঝিল-টিকাটুলি-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-কোনাপাড়া-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত।
২৩ নম্বর রুট হলো: ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর-জাপান গার্ডেন সিটি-শ্যামলী-কলেজগেট-আসাদগেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-শাহবাগ-মৎস্য ভবন-প্রেস ক্লাব-গুলিস্তান (জিরো পয়েন্ট)-দৈনিক বাংলা-রাজারবাগ-কমলাপুর-ধলপুর-যাত্রাবাড়ী-শনিরআখরা রায়েরবাগ-মাতুয়াইল-সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড পর্যন্ত।
২৬ নম্বর রুট হলো: ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর-টাউন হল-আসাদ গেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-নিউমার্কেট-আজিমপুর-পলাশী-চাঁনখারপুল-ফ্লাইওভার হয়ে-পোস্তগোলা কদমতলী পর্যন্ত।
পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বাস চালু হবে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে।নতুন বাস চালু হলে অন্য বাস কমে যাবার একটা শংকা কাজ করছে ইতিমধ্যে।এ প্রসঙ্গে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান,ঢাকা নগর পরিবহণ ঢাকাবাসীর কাছে সমাদৃত হয়েছে। একটি দুটি বাস কমল বা বাড়ল, সেটা কিন্তু সাফল্যের নির্ণায়ক নয়। সফলতার বিষয় হচ্ছে, এই রুটটি এখনো চালু রয়েছে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রান্স সিলভা তাদের বাসগুলো সরিয়ে নিয়েছে। তারা নতুন আরও ২০টি বাস চালু করার আবেদন করেছিল, কিন্তু তাদেরকে নতুন করে আর অনুমোদন দেয়া হয়নি। এ ছাড়া জাহান এন্টারপ্রাইজ ২০টি বাস চালুর আবেদন করেছিল এবং সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। সুতরাং সেই বাসগুলো এই রুটে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সম্মতি মতে ১ সেপ্টেম্বর তাকে প্রধান অতিথি করে নতুন তিনটি রুটে ঢাকা নগর পরিবহণ চালু করা হবে।
মেয়র আরও জানিয়েছেন,ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে আগামী ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত যৌথ অভিযান শুরু হবে। এই অবৈধ ১৬৪৬টি বাস, যারা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে বিভিন্ন রুটে চালাবে, এদেরকে ঢাকা শহরের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু দিনের বেলায়ই নয়, প্রয়োজনে রাতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে এই ১৬৪৬টি বাস জব্দ করে, ধ্বংস করা হবে। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রুটগুলোতে যাত্রী ছাউনি, বাস-বেসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।