আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এখন আর আগুন জ্বলছে না,আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। আগুনে প্রায় ৪০০ কনটেইনার ধ্বংস হয়েছে। বুধবার (৮ জুন) ডিপোর সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।
চট্টগ্রামের এই দুর্ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী কাজ করেছেন বলেও জানান ব্রিগেডের অধিনায়ক।
এদিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ প্রায় ২৪ জন চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর। ইতোমধ্যে কয়েজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জায়গা না থাকায় অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে দগ্ধ রোগীদের।
মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭৫ জন। চমেক বার্ন ইউনিটটি ২৬ শয্যাবিশিষ্ট। মোট শয্যার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী আছে এখন। অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চমেকের চিকিৎসক-নার্সরা।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, চমেক বার্ন ইউনিটটি এত রোগীর সেবা দেয়ার জন্য এখনও যথাযথ পরিপূর্ণ নয়। এখানে নেই আইসিইউ কিংবা সিসিইউ। পুরো চমেক হাসপাতাল মিলে আইসিইউ শয্যা আছে মোট ১৮টি। আইসিইউ বেড পেতে কয়েকদিন আগে সিরিয়াল দিতে হয়। কোনও রোগী মারা গেলে কিংবা সেখান থেকে সুস্থ হলে তার জায়গায় আরেকজন আইসিইউ বেড পেয়ে থাকেন।পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অন্যদের গাইনি ওয়ার্ডেও রাখা হয়েছে।