মো. সাইফুল ইসলাম, ধামরাই (ঢাকা):
ঢাকার ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ২০ গ্রামের লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন৷ সাঁকো ও খেয়া নৌকায় পার হতে গিয়ে ঘটছে দূর্ঘটনা।
অনেকেই কথা দেয় ভোটের সময়, কিন্তু ভোট শেষ হলে কারো দেখা পাই না, সবার ভাগ্যই পরিবর্তন হয়, ভাগ্য পরিবর্তন হয় না শুধু আমাদের মতো অবহেলিত গ্রামবাসীর। কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন গ্রামের কিছু বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাইয়ে বালিয়া, গাংগুটিয়া ও সাটুরিয়ায় সাটুরিয়া ইউনিয়নে লাখো মানুষের বসবাস। প্রতিদিনের কাজে দুই উপজেলার সদরসহ কাওয়ালীপাড়া বাজারে যেতে হয়। দুই উপজেলার অন্তর্গত ২০ গ্রামে যাওয়া -আসার একমাত্র রাস্তায় ব্রিজ নির্মাণ হয়নি গত ৫০ বছরেও। গাজীখালী নদীর এই স্থানে দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও নেই কোন স্থায়ী ব্রিজ। গ্রামের মানুষের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিনিয়ত নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সকাল বিকেল এপার থেকে ওপারে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাই এটি। ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় পারাপার হচ্ছে প্রায় বিশ গ্রামের প্রায় লাখো মানুষ।
এক পাড়ের মানুষ পারাপার হওয়ার সময় অন্যপাড়ের মানুষ অপেক্ষা করে ফলে কিছু কিছু সময় এক মিনিটের রাস্তা পার হতে ২০ থেকে ৩০ মিনিটও সময় লেগে যায়। বিকল্প রাস্তা না থাকার কারণে এখানেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় এসব এলাকাবাসীর। ঐ এলাকায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নদীর ওপারে বাছট বৈলতলা মোক্দমপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এপারে প্রত্যাশা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন, কিছু কিছু অভিভাবক তাদের ছোট ছেলে-মেয়েদের সাঁকো পার হওয়ার ভয়ে স্কুলে পাঠান না। এতে করে লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে এই এলাকার অনেক শিক্ষার্থীর।
এই রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী বাছট গ্রামের মো. মালেক জানান, কিছুদিন আগে এক ভ্যান চালক চালের বস্তা মাথায় করে নিয়ে আসার সময় বাঁশ ভেঙে নদীতে পড়ে যান। এ ছাড়াও গ্রামের বেশি বয়সী লোকদের চলাচলের জন্য খুবই বিপজ্জনক এই বাঁশের সাঁকোটি।
বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল রহমান বলেন, এই গাজীখালী নদীর ওপর দিয়ে এই এলাকার কৃষকেরা বিভিন্ন কৃষিপণ্য আনা-নেয়া করেন ,মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েসহ অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করে ।এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীর আর কোনো দুর্দশা থাকবে না।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টুর সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।
বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, প্রত্যাশা-বাছট এলাকায় গাজীখালী নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলাবাসী জনদুর্ভোগ লাগবে হবে। সেখানে সেতু নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করা হবে।