আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ
ঋতুর রাণী হলো বর্ষা । বর্ষা কালে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। ভ্রমণপিপাসুরা এসময় নিজেকে এমন সৌন্দর্য থেকে দূরে রাখতে পারেন না। তবে বর্ষার সময় ভ্রমণে বের হলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। এসময় ভ্রমণ বেশি উপভোগ্য। তবে বর্ষাকালে ভ্রমণ করা কিছুটা কষ্টসাধ্যও বটে । কারণ এসময় বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন বিড়ম্বনার পাশাপাশি থাকে অসুখ-বিসুখের ভয়ও। বৃষ্টির সময়ে ভ্রমণে গেলে কয়েকটি বিষয় এর প্রতি খেয়াল রাখলে ভ্রমণ হবে আনন্দেরঃ
ভ্রমণের জন্য বের হওয়ার আগে লাগেজ সাবধানে গুছিয়ে নিতে হবে । ভেজা কাপড় কিন্তু ত্বকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। যেন কোনো কাপড় ভিজে গেলেও দ্রুত পরিবর্তন করে নিতে পারেন সেজন্য পর্যাপ্ত কাপড় সাথে নিতে হবে ।
বর্ষাকালে শুধু ভ্রমণের সময়েই নয়, বাইরে বের হলেই সঙ্গে ছাতা রাখতে হবে । সেইসঙ্গে রেইনকোট রাখা যেতে পারে । বৃষ্টির সময় বাস বা ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রা করলে এই দুই জিনিস বেশি কাজে আসবে। বৃষ্টি থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। কারণ হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকে।
বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে সঙ্গে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পানির বোতল। এসময় কিন্তু গরমকালের মতোই ডিহাইড্রেশন হওয়ার ভয় থাকে। একটানা দীর্ঘ ভ্রমণ করলে ঘেমে যাওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়। তাই পর্যাপ্ত পানি ও শুকনো খাবার রাখতে হবে।
বর্ষাকালে যে ব্যাগ নিয়ে ভ্রমণে যাবেন সেটি যেন ওয়াটার প্রুফড হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । এতে বৃষ্টির মধ্যেও লাগেজ ভিজে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ভ্রমণের সময় খুব বেশি ভারী খাওয়া ঠিক না । এতে হজমে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসময় ব্যাগে শুকনো খাবার রাখতে হবে । ফলমূল ও জুসও রাখা যেতে পারে। দীর্ঘ জার্নিতে সেসব খাবার কাজে লাগবে।
বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কারের কাজে ব্যবহারের জন্য সঙ্গে টিস্যু পেপার রাখা জরুরি । সেইসঙ্গে রাখা যেতে পারে সুতির নরম কাপড়। ক্যামেরার লেন্স ও ত্বক পরিষ্কারের কাজে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। টয়লেটের ব্যাকটেরিয়া এড়াতে সঙ্গে টয়লেট স্প্রে ও টয়লেট টিস্যু থাকলে সংক্রমণের ভয় থাকবে না ।
