আবারও দলের হাল ধরতে অধিনায়ক হলেন অলরাউন্ডার সাকিব

আলোকিত স্বদেশ ডেস্কঃ

টেস্টের নেতৃত্বে আবারও ফিরলেন সাকিব আল হাসান।বাংলাদেশ দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ড। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন কুমার দাসকে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নেতৃত্বের জায়গাটা একরকম হাতবদলই হলো। কারণ সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় টেস্টের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মুমিনুল।আর মুমিনুল হক স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়ার পর লাল বলে বাংলাদেশের অধিনায়ক হলেন এই অলরাউন্ডার।

আজ (বৃহস্পতিবার) বোর্ড সভায় বসেছিলেন বিসিবির পরিচালনা। সেখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল টেস্ট অধিনায়ক। যেহেতু মুমিনুল আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, তাই বোর্ড সভায় নির্বাচন করা হয়েছে নতুন অধিনায়ক। সাকিব নেতৃত্ব পাওয়ায় তার প্রথম মিশন শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে। এ মাসেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবরে তিনি নিষিদ্ধ হওয়ার পর টেস্টের অধিনায়ক করা হয়েছিল মুমিনুলকে। অনেকটা আচমকাই দায়িত্ব পেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর থেকে লাল বলের দায়িত্ব তিনিই সামলেছেন। তবে দলীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যক্তিগত জায়গায় ব্যর্থতায় দুই দিন আগে দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান মুমিনুল। যদিও বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে তখন কিছু জানায়নি।

শেষ পর্যন্ত বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়া মুমিনুলের জায়গায় টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে। আর তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন লিটন।

সাকিবের অধিনায়কত্ব লম্বা হতো, কিন্তু ২০১৯ সালে ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে নেতৃত্ব হারান। তার নেতৃত্বে মোট ১৪ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে তিনটিতে, হেরেছে ১১টি। অন্যদিকে মুমিনুলের নেতৃত্বে ১৭ টেস্টে তিন জয়, দুই ড্র ও ১১ হার বাংলাদেশের। তবে মুমিনুলের হাত ধরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার পরিবর্তে প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব পান সাকিব আল হাসান। ওই মেয়াদে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জেতেন একটিতে। এরপর ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হন টাইগার অলরাউন্ডার। ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন ৫ টেস্টে। যেখানে দল জয় পায় দুই ম্যাচে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হারের বিপিরীতে ৩ জয় সাকিবের।

তৃতীয় মেয়াদে সাকিব টেস্টে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।