সিলেট নগরীতে উপচে সুরমা নদীর পানি।

আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করার পাশাপাশি সিলেট নগরীতেও ঢুকে পড়েছে।

সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল, গ্রামীণ সড়ক প্লাবিত হওয়ার ফলে কিছু স্থানে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে চাল।

এ ছাড়া সুরমা নদী উপচে সোমবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর নিচু এলাকায়ও পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, “সোমবার বেলা ১২টায় সুরমা নদীর পানি সীমান্তবর্তী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১দশমিক ৪৪  সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

“এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে ১ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সারি নদীর পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে।

সকাল থেকে সুরমা নদী উপচে নগরীর উপশহর, সোবহানিঘাট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে।

এদিকে উজানের ঢলে পাঁচ উপজেলার অন্তত ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে মাছের খামার ।

জকিগঞ্জ উপজেলায় শনিবার রাতে সুরমা নদী রক্ষা ডাইক ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ফলে তলিয়ে গেছে উপজেলার বারহাল ও মানিকপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। এ ছাড়া কাজলসার ইউনিয়নের কিছু এলাকায়ও পানি প্রবেশ করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, উপজেলায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে ১২ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে রোববার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে।তবে উজানে বৃষ্টি হচ্ছে, এ কারণে ঢল নামছে। ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।