সাঁথিয়ায় খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প’র ঘর নির্মাণ, বাধা দিচ্ছে কুচক্রী মহল

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ

পাবনার সাঁথিয়া খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে বাধা দিচ্ছে কতিপয় স্বার্থান্বেশী মহল।

জানা গেছে, উপজেলার  ক্ষেতুপাড়ায় প্রায় ৬০ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকা  খাস জমিতে গৃহহীনদের জন্য ২০টি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক এ প্রল্পটি বাস্তবায়নে এলাকার  কতিপয় ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাধা সৃষ্টি করছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে  জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ।

তিনি বলেন, মুজিব বর্ষে প্রত্যেক গৃহহীন মানুষের জন্য জন্য সরকার ঘর দেয়ার উদ্যোগ নেয়।  এরই অংশ হিসেবে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। ১ম ও ২য় পর্যায়ে চার শ’ ২০টি পাকা ঘর নির্মান করা হয়েছে। সেখানে এক সময়ের ভাসমান পরিবারগুলো এখন সুখী জীবন যাপন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আরও বেশ কিছু গৃহহীন মানুষ জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন আগের মতই ১ নং খতিয়ানভুক্ত জমিতে গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের পূনর্বাসিত করে আসছে।

সাঁথিয়ার ক্ষেতুাপাড়া ইউনিয়ন উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ২ একর ৩ শতক খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পর কাজ শুরু করা হয় গত বছরের  অক্টোবরে। এরই মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুধু রঙের কাজ বাদ রয়েছে। এর পরই অসহায় গৃহহীনদের মধ্যে ২০টি পাকা ঘর হস্তান্তর করা হবে।

ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনছুর আলম পিন্চু জানান, এ জমি দীর্ঘ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানে ২০টি পাকা ঘর নির্মাণ হওয়ায় ২০টি অসহায় পরিবার ভূমি ও আশ্রয় পাবেন।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান,  এস.এ এবং আর.এস রেকর্ড অনুযায়ী জায়গাটি ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত। এ সম্পত্তি দীর্ঘ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে অবস্থিত ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির জমি বৃটিশ আমলে জনৈক বাছের নামক এক ব্যক্তি দান করেছিলেন বলে স্থানীয় কেউ কেউ জানান। তবে তার কোন প্রমানাদি স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে নেই।

তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ মহতী কাজকে কেউ কেউ বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। গ্রামে গুজব রটিয়ে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভেঙে ফেলা বা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সরিয়ে নেয়া হবে বলে জনমেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন । চার মাস আগে আশ্রয়নের কাজ শুরু হলেও সরকারি জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর একটি মানবিক উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য বিভাগ বা এলাকার কেউ এর প্রতিবাদ জানায়নি।

নির্মাণ কাজ  শেষে যখন গৃহহীনরা তাদের বরাদ্দ করা ঘরে উঠবেন ঠিক সে সময়ে পরিকল্পিতভাবে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে কুচক্রী মহল গুজব রটিয়ে মহতী উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।